বাঘাইছড়িতে লোগাঙ গণহত্যা দিবসে স্মরণসভা

বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি ।। রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে লোগাঙ গণহত্যার ৩০ বছর উপলক্ষে আজ ১০ এপ্রিল ২০২২, রবিবার ইউপিডিএফ’র বাঘাইছড়ি ইউনিটের উদ্যোগে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
স্মরণ সভায় রিয়েল চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ’র কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বাঘাইছড়ি উপজেলা সভাপতি রত্ন জ্যোতি চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বাঘাইছড়ি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক নিউটন চাকমা প্রমুখ।
স্মরণসভায় ইউপিডিএফ নেতা সচিব চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এমন একটি অঞ্চল যেখানে দশকের পর দশক ধরে চলছে সেনাশাসন। আর এই সেনাশাসনের মাধ্যমে একের পর এক সংঘটিত হয়েছে লোগাঙ গণহত্যাসহ ডজনের অধিক গণহত্যা আর অসংখ্য সাম্প্রদায়িক হামলা।
তিনি লোগাঙ গণহত্যার কথা স্মরণ করে বলেন, পানছড়ি উপজেলার লোগাঙে যেখানে গণহত্যা চালানো হয়েছে সেখানে ছিল পাহাড়িদের গুচ্ছগ্রাম। সরকার পানছড়ির বিভিন্ন গ্রাম থেকে শত শত পাহাড়ি পরিবারকে ওই গুচ্ছগ্রামে বসবাস করতে বাধ্য করেছিল । আর এই গুচ্ছগ্রামেই ১৯৯২ সালের ১০ এপ্রিল পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়িয়ে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে বিডিআর ও সেটলার বাঙালিরা। এর চেয়ে নির্মম-নিষ্ঠুর ঘটনা আর কোন কিছুই হতে পারে না।
তিনি শাসকগোষ্ঠি পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণের ওপর নিপীড়নের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে রেখেছে উল্লেখ করে বলেন, এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলে সররকার ’৯৭ সালে চুক্তি করেছে। কিন্তু দীর্ঘ দুই যুগ ধরে ওই চুক্তিকে ঝুলিয়ে রেখে একদিকে জুম্ম দিয়ে জুম্ম ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে, অন্যদিকে অন্যায় দমন-পীড়ন চালিয়ে বিচার বহির্ভুতভাবে হত্যা, গুম, ভূমি বেদখলসহ নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।
সচিব চাকমা শাসকগোষ্ঠির এই অন্যায় দমন-পীড়নের রুখে দাঁড়াতে ছাত্র-যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
স্মরণসভা থেকে বক্তারা লোগাঙ গণহত্যাসহ এ যাবত সংঘটিত সকল গণহত্যার শ্বেতপত্র প্রকাশ ও বিচার দাবি করেন।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।
সিএইচটি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন