বান্দরবানের লামায় পাহাড়ি গ্রাম পুড়িয়ে দেয়ার নিন্দা ও প্রতিবাদ ইউপিডিএফের

0

হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি

নিজস্ব প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় পাহাড়িদের নতুন স্থাপিত পূর্ব-বেতছড়িপাড়ার সতেরটি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাকে “মধ্যযুগীয় বর্বরতা” ও ”জঘন্য অপরাধ” বলে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।

আজ ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের সহসভাপতি নুতন কুমার চাকমা অবিলম্বে অপরাধী দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।

হামলাকারীরা ঘটনার কয়েকদিন আগে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেছিল ও হুমকি দিয়েছিল বিধায় তাদের পরিচয় জানা অত্যন্ত সহজ হবে বলে তিনি মনে করেন।

তিনি বলেন, লামা উপজেলার সরই তংগোঝিরি এলাকার ওই গ্রামের লোকজন খৃষ্টান সম্প্রদায়ের বড়দিন উপলক্ষ্যে পার্শবর্তী গ্রামের গির্জায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিলে, সেই সুযোগে গভীর রাতে দুষ্কৃতিকারীরা বাড়িগুলো আগুনে পুড়িয়ে দেয়।

লামায় ত্রিপুরাদের ঘর পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। 

গ্রামবাসীদেরকে উক্ত গ্রাম থেকে বিতাড়িত করতে এভাবে ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে মন্তব্য করে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, ”এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ তংগোঝিরিপাড়ার ১০০ একরের অধিক জুমের জমি বেদখল করেছিলেন; জনগণের উক্ত জমি এখন বেদখলমুক্ত হওয়ায় সেখানে নতুন একটি পাড়া স্থাপন করা হয়েছে।”

নুতন কুমার চাকমা বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বান্দরবানসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে অসংখ্য ভূমি বেদখলের ঘটনা ঘটেছে, এ সময় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ভূমিদস্যুরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। বর্তমান সরকারের আমলেও তারা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে।’

কিন্তু আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি মোটেই কাম্য নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More