মাটিরাঙ্গায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা নিতে গড়িমসির প্রতিবাদ হিল উইমেন্স ফেডারেশনের

0

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ।। খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়েনের অন্তর্গত লাইফু পাড়া এলাকায় মো. মনসুর আলী (২৮) নামে এক ব্যক্তি কর্তৃক এক পাহাড়ি স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় মাটিরাঙ্গা থানায় মামলা নিতে গড়িমসির অভিযোগ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি নিরূপা চাকমা আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ দুপুরের দিকে মো. মনসুর আলী (মোটর সাইকেল চালক) তবলছড়ি ইউনিয়নের লাইফু পাড়া এলাকায় এক ত্রিপুরা স্কুল ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের প্রচেষ্টা চালায়। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ধর্ষণ চেষ্টাকারী মো.মনসুর আলীকে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. তাজু ইসলামের নিকট হস্তান্তর করে। কিন্তু তিনি কোনো আইনি পদক্ষেপ না নেয়ায় স্কুলছাত্রী ও তার অভিভাবকরা গতকাল বৃহস্পতিবার মাটিরাঙ্গা থানায় মামলা করতে গেলে নানা অজুহাত দেখিয়ে মামলা নিতে গড়িমসি করা হয়। আজ শুক্রবার তারা আবার মামলা করতে থানায় গেলে উল্টো স্কুল ছাত্রীকে দীর্ঘক্ষণ ধরে থানার একটি কক্ষে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে হয়রানি করা হয়েছে।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, নারী নির্যাতন-ধর্ষণ ঘটনায় থানায় মামলা নিয়ে পুলিশের এমন গড়িমসি আজকে নতুন নয়। অপরাধীদের রক্ষা করতে এ ধরনের ঘটনা অতীতেও বহু ঘটেছে।

তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, সাম্প্রতিককালে গত দু মাসে বান্দরবানে সেনা সদস্য কর্তৃক পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা, খাগড়াছড়ির রামগড়ে বিজিবি’র দুই সদস্য কর্তৃক এক গৃহবধূকে ধর্ষণের প্রচেষ্টা, বাঘাইছড়িতে এক প্রতিবন্ধী পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ঘটনায় জড়িত রাষ্ট্রীয় বাহিনী সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। উপরন্তু ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভিকটিমের পরিবারকে ভয়ভীতি ও চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় মামলা গ্রহণপূর্বক ঘটনায় জড়িত মনসুর আলীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণের মেডিকেল রিপোর্টের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া, ধর্ষকদের সহায়তাকারীদের বিচারের আওতায় আনা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেটলার বাঙালিদের প্রত্যাহার করে পাহাড়ি নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

 


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More