মানিকছড়িতে ইউপিডিএফ’র কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ রুইখই মারমার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

0

মানিকছড়ি প্রতিনিধি ।। খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ইউপিডিএফ’র কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ রুইখই মারমার ১২তম মৃতুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

আজ ২ অক্টোবর ২০২১, শনিবার সকাল ৭টায় ইউপিডিএফ, পিসিপি, ডিওয়াইএফ ও এইচডব্লিউএফ’র নেতৃবৃন্দ এবং এলাকাবাসী শহীদ রুইখই মারমার স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ইউপিডিএফ’র পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মানিকছড়ি ইউনিটের সমন্বয়ক ক্যহ্লাচিং মারমা। এরপর তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ রুইখই মারমার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রুইখই মারমাসহ শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

পরে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউপিডএফ’র মানিকছড়ি ইউনিটের সমন্বয়ক ক্যহ্লাচিং মারমা।

সভায় তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

স্মরণসভায় ক্যহ্লাচিং মারমা শহীদ রুইখই মারমাকে স্মরণ করে বলেন, শহীদ রুইখই মারমা পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতীয় মুক্তির আন্দোলনে একজন দক্ষ নেতা ছিলেন। তাঁর বলিষ্ট নেতৃত্বের কারণে সে সময় মানিকছড়ি, রামগড় এলাকায় সেটলার কর্তৃক ভূমি বেদখলের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে উঠে। যার কারণে অনেক ভূমি বেদখলের হাত থেকে রক্ষা পায়।

তিনি বলেন, শহীদ রুইখই মারমা জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষা ও অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যে অবদান রেখে গেছেন তার জন্য তিনি ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

রুইখই মারমা আজীবন লালিত লড়াইয়ের চেতনাকে ধারণ করেই আমাদের নতুন প্রজন্মকে আগামী দিনের লড়াই জোরদার করতে হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২ অক্টোবর লক্ষ্মীছড়ির বর্মাছড়ি ইউনিয়নের বটতলী নামক স্থানে সেনাবাহিনীর সৃষ্ট সন্ত্রাসীরা রুইখই মারমাকে গুলি করে হত্যা করে।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।


সিএইচটি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More