লক্ষীছড়িতে শহীদ রুইখই মারমার ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা

লক্ষীছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়িতে ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ রুইখই মারমা (অংসাইন) এর ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর ২০২৫) সকালে ইউপিডিএফের লক্ষীছড়ি ইউনিট এই স্মরণসভার আয়োজন করে।
“যিনি জাতির জন্য জীবন উৎসর্গ করেন, তিনি মহান, তার স্মৃতি অম্লান” এই শ্লোগানকে ধারণ করে সকাল ৯টায় একটি চৌকস টিমের মাধ্যমে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে ইউপিডিএফসহ তিন গণসংগঠন, শহীদ পরিবারবর্গ, এলাকাবাসী ও হুদুকছড়ি স্কুলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়।
এরপর সকাল ৯:৩০টায় পিসিপির লক্ষীছড়ি উপজেলা সভাপতি জয় চাকমার সঞ্চালনায় ও ইউপিডিএফ লক্ষীছড়ি উপজেলা সংগঠক অং মারমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ইউপিডিএফ সংগঠক বিবেক চাকমা, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিউলি মারমা ও স্কুল শিক্ষক পাইশিউ মারমা।

বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের আজকের এই দিনে খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা বটতলী পাড়ায় সেনাবাহিনীর সৃষ্ট সন্ত্রাসীরা (বোরখাপার্টি নামে পরিচিত) রুইখই মারমাকে গুলি করে হত্যা করে। রুইখই মারমা পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত, নিপীড়িত জনগণের পক্ষে আজীবন লড়াই করে গেছেন। শাসকগোষ্ঠির অন্যায়-অবিচার, ভূমি বেদখল, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সর্বদা সোচ্চার। আজীবন সংগ্রামী এই নেতা শুধু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন না, ধর্মীয়, সামাজিকসহ এলাকা উন্নয়নের কাজেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
বক্তারা রুইখই মারমার লালিত আদর্শ, চেতনাকে ধারণ করে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আহ্বান জানিয়ে বলেন, রুইখই মারমা চেয়েছিলেন নিপীড়নমুক্ত, বৈষম্যহীন পার্বত্য চট্টগ্রাম। সেই লক্ষ্যে আমাদের লড়াই সংগ্রাম করতে হবে। ঘাতকরা শারীরিকভাবে রুইখই মারমাকে হত্যা করতে পারলেও তার লালিত চেতনা কখনো মরবে না। নতুন প্রজন্মকে এবং জনগণকে তার সংগ্রামী চেতনায় শাণিত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে জোরদার করতে হবে।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।