লক্ষ্মীছড়ির বিভিন্ন স্থানে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাক আগ্রাসন দিবসে আলোচনা সভা

লক্ষ্মীছড়ি প্রতিনিধি।। “অস্তিত্ব রক্ষার্থে সংগঠিত হোন, আন্দোলন গড়ে তুলুন” এই শ্লোগানে ‘৪৭-এ ক্ষমতা হস্থান্তর, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম’ এর ওপর অবিচার, পাক আগ্রাসনের ৭৪ বছর উপলক্ষে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভা করেছে ইতিহাস অনুসন্ধানে নতুন প্রজন্ম।
আজ ২০ আগস্ট ২০২১, শুক্রবার লক্ষ্মীছড়ি সদর, দুল্যাতুলি, বাইন্যাছোলা ও বর্মাছড়ির কুদুকছড়ি এলাকায় পৃথক পৃথকভাবে এসব আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
লক্ষ্মীছড়ি সদরে অনুষ্ঠিত সভায় ইউপিডিএফ সংগঠক নিরেধ চাকমা সভাপতিত্বে ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা শাখার অর্থ সম্পাদক পবিন চাকমা সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ সংগঠক দেবেশ চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য ক্যামরন চাকমা।
দুল্যাতুলিতে অনুষ্ঠিত সভায় ইউপিডিএফ সংগঠক নিরব চাকমা সভাপতিত্বে ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিটুন চাকমা সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি উৎপল চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের লক্ষীছড়ি উপজেলা শাখার সদস্য রিটন চাকমা।

বাইন্যাছোলায় ইউপিডিএফ এর সংগঠক আপ্রুশি মার্মা সভাপতিত্বে ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি রুপান্ত চাকমা সঞ্চালন বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ সংগঠক রতন বসু, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সদস্য পাইচুইমং মার্মা ও দন্ডিপাড়ার যুব যুব সভাপতি সুইচিমং মার্মা।
অন্যদিকে বর্মাছড়ি ইউনিয়নের কুদুকছড়িতে ইউপিডিএফ সংগঠক বিদুর চাকমার সভাপতিত্বে ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি পাইচি মার্মা সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ সংগঠক আদিত্য চাকমা, বটতলী পাড়ার যুব সভাপতি সুইথুইমং মার্মা ও লাম্বাতিলা যুব সভাপতি তরুন জ্যোতি চাকমা।
বক্তারা বলেন আজ থেকে ৭৪ বছর আগে ২০ আগষ্ট ছিল পার্বত্য গ্রামবাসীর একটি অভিশপ্ত দিন! পার্বত্যবাসীর আশা আকাঙ্খাকে গুড়িয়ে দিয়ে পাকিস্তানের বেলুচ রেজিমেন্ট পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র আগ্রাসন চালিয়েছিল। এর ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম তার পূর্বের স্বাধীন-স্বতন্ত্র শাসন ব্যবস্থা হারিয়ে ফেলে।
তারা বলেন, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা ভারতীয়দের হাতে তুলে দেওয়ার আগে বলা হয়েছিল মুসলিম আর অমুসলিম হিসাবে দেশ ভাগ করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ৯৭% অমুসলিম হওয়ায় সত্ত্বেও মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল, যার ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাসীর দুর্ভোগ শুরু হয়।

বক্তারা বলেন সেই সময় ভারতীয় নেতারা আশ্বাস দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারতে অধীনে থাকবে কিন্তু দেখা গেল তাদের সেই আশ্বাস কোন কাজেই আসেনি।
বক্তারা নতুন প্রজন্মকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সঠিক ইতিহাস অনুসন্ধানের মাধ্যমে আগামী দিনের লড়াই সংগ্রামকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।