শুক্রবার লংগদুতে সেনাবাহিনী নিরীহ লোকজনকে নির্যাতনসহ যা যা করেছে

0


লংগদু প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

রাঙামাটির লংগদুতে গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর ২০২৫) ভোরের দিকে (রাত ২টা) মাইনি জোন ও বামে লংগদু সেনা ক্যাম্প থেকে ৬০/৭০ জনের একটি সেনাদল কাট্টলী এলাকায় হানা দেয়।

সেনারা রাতের অন্ধকারে ছোট কাট্টলী মুখ থেকে মাছ ধরার জাল পাহারা দেয়ার সময় লংগদু ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাইস্কুল পাড়ার ৬ গ্রামবাসীকে ধরে নিয়ে যায়।

এরা হলেন- ১. বিরতি ময় দেওয়ান (৪০), পিতা- রমেন দেওয়া, গ্রাম- হাইস্কুল পাড়া, ২নং ওয়ার্ড, লংগদু ইউনিয়ন, ২. অমর শান্তি দেওয়ান (৩২), পিতা ধনা চন্দ্র দেওয়ান, ৩. তপন জ্যোতি চাকমা (৪৫), পিতা- অনি ভূষণ চাকমা, ৪. তপন চাকমা (৩৮), পিতা- ইন্দ্র সুর চাকমা, ৫. রূপায়ন চাকমা (৪০), পিতা- গুলোমনি চাকমা ও ৬. সুবর্ণ চাকমা (২২), পিতা- গোপাল সেন চাকমা।

সেনারা তাদেরকে সাথে নিয়ে ইউপিডিএফ’র লোকজন খোঁজার নামে বড় হাড়িকাবা গ্রামে যায়। সেখান থেকে আবার অমর কান্তি  চাকমা (৪৫), পিতা- রাজা চাকমাকে ধরে নিয়ে ধুধুক ছড়া গ্রামে যায় এবং গ্রামের বাসিন্দা দয়াল চন্দ্র চাকমা (৫০), পিতা- কান্ত মনি চাকমার বাড়ি ঘেরাও করে ইউপিডিএফের লোকজন খুঁজতে থাকে ও বাড়িতে তল্লাশি চালায়।

সেখানে সেনারা দয়াল চন্দ্র চাকমার মেয়ের জামাই পরান‍্যে চাকমা (৩৫), পিতা- বৃষকেতু চাকমাকে মারধর করে। এছাড়া আগে থেকে ধরে নিয়ে আসা অমর কান্তি চাকমা, বিরতি ময় দেওয়ান, অমর শান্তি দেওয়ান ও রুপায়ন চাকমাকেও সেনারা মারধর করে। তবে বাকিরা কোনরকমে মার খাওয়া থেকে বেঁচে যায়।

এরপর সেনারা উক্ত লোকজনকে সাথে নিয়ে কাট্টলী মৌন এলাকায় অভিযান চালায়। পরে বেলা ২:৩০টার দিকে সেখান থেকে নীচে নেমে রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করার পর কাট্টলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দিকে যায় এবং বিকাল ৪টার দিকে ধরে নেওয়া লোকজনকে কাট্টলী উচ্চ বিদ‍্যালয়ের পাশে ছেড়ে দিয়ে ক্যাম্পে ফিরে যায়।

এই সময়ের মধ্যে সেনারা নিরোধ বিকাশ চাকমা (৫৮), পিতা- নতুন লাল চাকমা, গ্রাম- ছোট কাট্টলী-এর বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে তল্লাশি চালিয়ে জিনিসপত্র তছনছ করে দেয়। তবে তার বাড়ির লোকজন কাজের জন্য বাইরে থাকায় বাড়িতে কোন লোকজন ছিল না।

সেনাবাহিনীর এমন হয়রানিমূলক অভিযানের ফলে এলাকার জনমনে আতঙ্ক ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More