সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে লক্ষ্মীছড়িতে জাতিসত্তা মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের মানববন্ধন

লক্ষ্মীছড়ি প্রতিনিধি ।। কুমিল্লা-রংপুরের পিরগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ ও হিন্দু মন্দিরে হামলা, ২ পুরোহিত হত্যা এবং কক্সবাজার জেলায় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যংয়ে কাটাখালি বৌদ্ধ বিহারে হামলায় বেশ কয়েক জনকে গুরুতর জখম, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের প্রতিবাদ ও দুর্বৃত্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে জাতিসত্তা মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর ২০২১) সকালে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাতিসত্তা মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য বিনোদ মুন্ডা, স্থানীয় মুরুব্বী খোকেন দাস এবং এতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি উৎপল চাকমা।

মানববন্ধনে বিনোদ মুন্ডা বলেন, নিপীড়ন-নির্যাতন ও অশুভ শক্তির হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোও এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি। এদেশের বাঙালিদের সাথে সম্মিলিতভাবে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে আমরা দেশটাকে স্বাধীন করেছি। কিন্তু ৫০ বছরেও এদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলো নিপীড়ন-নির্যাতন থেকে মুক্তি পায়নি। তাদের প্রাপ্য অধিকার ও মর্যাদা পায়নি।

তিনি সম্প্রতি দুর্গাপূজা ও তার পরবর্তী সময়ে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর যে হামলা সংঘটিত হয়েছে সেসব ঘটনা যাতে আর পূনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান এবং হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার ও শাস্তির দাবি জানান।

বক্তারা বলেন, সরকার দেশের সংখ্যালঘু জাতি ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে যে ব্যর্থ তা সম্প্রতি কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোই প্রমাণ করে। সরকারের এই ব্যর্থতার কারণেই এসব হামলার রেশ কাটতে না কাটতে কক্সবাজারের টেকনাফে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উপর পূনরায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। মূলত রাজনৈতিক ফায়দা লুটতেই ধর্মান্ধ গোষ্ঠীকে মদদ দিয়েই এ ধরনের হামলা চালানো হয়েছে বলে বক্তারা মন্তব্য করেন।
বক্তারা অনতিবিলম্বে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে হামলাকারী দুর্বৃত্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান ।