সেটলারদের আপত্তিতে মন্ত্রণালয়ে দেয়া সেই চিঠি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হলেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

0

রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার


রাঙামাটি, সিএইচটি নিউজ
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫

গত ২৯ জুলাই ২০২৫ রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার নিজ স্বাক্ষরে বিবিধ মামলা (আদালত) পূর্বানুমোদন প্রদান বিষয়ে মতামত চেয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে একটি চিঠি দেন, যার স্মারক নং ২৯.৩৪.৮৪০০.২০৫.৫১.০০১.২০২৫.৯৪১।

২৯ জুলাই ২০২৫ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠি।

উক্ত চিঠিতে বলা হয়েছিল, “বর্তমানে সিভিল স্যুট মামলা করে হেডম্যানের নিকট হতে কোন প্রত্যয়ন বা প্রতিবেদন গ্রহণ না করেই বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায়মূলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে বিবিধ (আদালত) মামলা সৃজন পূর্বক রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পূর্বানুমোদন প্রদানের নিমিত্ত প্রচুর বিবিধ মামলা আসছে, হেডম্যানের প্রতিবেদন ব্যতীত উক্ত বিবিধ মামলাগুলো পূর্বানুমোদন প্রদান করা হলে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হতে পারে বিধায়, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের মতামত/নির্দেশনা প্রয়োজন।”

কিন্তু তাঁর এ চিঠি নিয়ে আপত্তি তোলে সেটলার বাঙালিরা। তাদের আপত্তির কারণে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উক্ত চিঠি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন।

গতকাল ১২ আগস্ট ২০২৫ রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার পূর্বের চিঠি প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে আবারো মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন।

পূর্বের (২৯ জুলাই) দেয়া চিঠি প্রত্যাহার করে মন্ত্রণালয়ে দেয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের চিঠি। 


চিঠিতে তিনি বিষয় উল্লেখ করেছেন, “বিবিধ মামলা (আদালত) পূর্বানুমোদন প্রদান বিষয়ে চাহিদা পত্র প্রত্যাহার।”

এতে তিনি লিখেছেন ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক জানানো যাচ্ছে যে, সূত্রে বর্ণিত স্মারকমূলে বিবিধ মামলা (আদালত) পূর্বানুমোদন প্রদান বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের মতামত/নির্দেশনা চাওয়া হয়। পত্রটি এতদ্বারা প্রত্যাহার করা হলো।

চিঠিতে তিনি সুনির্দিষ্ট কোন কারণ উল্লেখ না করলেও জানা গেছে, সেটলার বাঙালিরা তাঁর ২৯ জুলাইয়ের চিঠি নিয়ে আপত্তি তোলে এবং চিঠিটি প্রত্যাহার করতে চাপ প্রয়োগ করে। ফলে তিনি উক্ত চিঠি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।

এদিকে, সেটলারদের চাপের মুখে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের এই চিঠি প্রত্যাহার তাঁর নৈতিক পরাজয় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক সচেতন মহল। এর ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলেও তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More