এসময় অপহরণের শিকার ডাঃ তুষারের শরীরের বিভিন্ন অংশে বেশ কয়েকটি আঘাতের চি দেখা গেছে। এসময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কে বা কাহারা তাকে অপহরণ করেছে এব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান ডাঃ তুষার কান্তি নাথ।
জেলার কুতুকছড়ি এলাকা থেকে ছোটন কুমার চাকমা ও এন্ড্রু চাকমা নামে শহরতলীর কালিন্দীপুর এলাকার দুই বাসিন্দা বিয়ের দাওয়াত খেয়ে মটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন।
এসময় শহরের শিমুলতলী এলাকায় পৌঁছালে রাস্তার উপর আহত এক ব্যাক্তিকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে দেখতে পান।
তারা মটরসাইকেল থামিয়ে তার কাছে গেলে তিনি পরিচয় দিয়ে সাহায্যের আবেদন করেন। এসময় তারা আহত ডাক্তারকে হাসপাতালে নিয়ে যান ও পুলিশে খবর দেন।
হাসপাতালে ডাক্তাররা তার হাতে, পিঠে, পায়ে ও উরুতে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। হাসপাতালের বেডে শুয়ে ডা. তুষার কান্তি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এক মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের মটরসাইকেলে চড়ে তিনি বাসায় ফিরছিলেন।
এ সময় শহরের রাণিগ্রাম স্কুলের সামনে পৌঁছালে কয়েকজন লোক তাদের গাড়ি থামায়। এসময় তারা তার চোখ কালো কাপড়ে বেঁধে একটি গাড়ীতে তুলে পাহাড়ী এলাকার দিকে নিয়ে যায়।
সেখানে নিয়ে তাকে বেদম প্রহার করে। তাদের কথাবার্তা শুদ্ধ বাংলা ছিল বলে তিনি জানান। অপহরণকারীরা এ সময় তার মোবাইল সেটটি নিয়ে গেলেও পকেটে থাকা ৩০ হাজার টাকা নেয়নি। ফলে অপহরণকারীদের সন্ত্রাসী বলে মনে করা হচ্ছেনা।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে ডা. তুষার কান্তির তত্ত্বাবধানে থাকা বেশ কয়েকজন শিশু মারা গেছে। এ নিয়ে মৃত শিশুর অভিভারকরা এই ডাক্তারের বিরুদ্ধে বিুদ্ধ ছিল। পুলিশ সকল বিষয়ই খতিয়ে দেখছে।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার সময় রাঙামাটি সদর হাসপাতালে নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার সময় শহরের রানী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের হাতে অপহরণের শিকার হন ডাঃ তুষার কান্তি নাথ।
প্রায় চার ঘন্টা পর রাঙামাটি শহরের শিমুলতলী এলাকা সংলগ্ন প্রধান সড়ক থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার হন তিনি। (সূত্র/সৌজন্যে: বার্তা লাইভ )