সিএইচটিনিউজ.কম
গত ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪, রাঙামাটির নানিয়াচর উপজেলার বগাছড়িতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় সেটলার বাঙালিরা পাহড়িদের ৩টি গ্রামে হামলা চালিয়ে ৫০ টি বাড়ি, ১টি ক্লাব ও ৭টি দোকানে অগ্নিসংযোগ, বৌদ্ধ বিহারে হামলা চালিয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুকে গুরুকে মারধর, বুদ্ধিমূর্তি ভাংচুর-লুটপাট চালায়। এ হামলায় প্রীতিবালা চাকমা, স্বামী-চন্দ্র মানিক চাকমা’র বাড়িও পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি সিএইচটিনিউজ.কমের এই প্রতিবেদককে বলেন, …আর্মিরা একদিকে পাহারা দেয়, আর বাঙালিরা হৈ হুল্লোড় করে এসে ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। [এ সময় তিনি আধা মাইল দূরের বগাছড়ির সেটলার বাঙালি পাড়া হাত দিয়ে দেখিয়ে দেন]। তখন আমরা ভয়ে পালিয়ে যাই। পালিয়ে না গেলে হয়তো তারা আমাদেরকে মারধর করতো, মেরে ফেলতো।
আমরা এক কাপড়েই পালিয়ে যেতে বাধ্য হই। এখন এই পরা কাপড়-চোপড় ছাড়া আর কিছু নেই। ঘর নেই-বাড়ি নেই কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। আমার দুই ছেলের বইপত্র, সার্টিফিকেট, আইডি কার্ড, জন্ম নিবন্ধন সব পুড়ে গেছে। তারা এখন বই কোথায় পাবে, কিভাবে পড়াশুনা করবে? সোলার, টিভি, খাট, আলমারি, শো-কেস সহ বাড়ির সকল জিনিসপত্র পুড়ে শেষ হয়েছে। না পালালে আমাদেরও শেষ করে ফেলতো।
প্রীতিবালা চাকমার বর্ণনায় শুনুন সেদিনের ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
————————-
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।