কাপ্তাইয়ে সেনা সদস্য কর্তৃক মারমা কিশোরীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে কাউখালীতে বিক্ষোভ

0
38

কাউখালী প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় রাইখালী ইউনিয়নে মিতিঙ্গাছড়ি গ্রামে ৬ সেনা সদস্য কর্তৃক এক মারমা কিশোরীকে গণধর্ষণ ও খাগড়াছড়ির রামগড়ে বাঙালি কর্তৃক এক পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে কাউখালীতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩) বিকাল ৩টার সময় হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম-এর কাউখালী উপজেলা শাখাসমূহ যৌথভাবে কাউখালীর বেতবুনিয়া এলাকায় এই বিক্ষোভের আয়োজন করে।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম কাউখালী উপজেলা শাখার সভাপতি থুইনুমং মারমার সভাপতিত্বে ও পিসিপি কাউখালী উপজেলার সভাপতি দিপায়ন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর কাউখালী উপজেলার সংগঠক অভি মারমা, পিসিপির রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তনুময় চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের উপজেলা সদস্য মিনুচিং মারমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের উপজেলা তথ্য প্রচার সম্পাদক মাওচিং মারমা।

বক্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর সকালে কাপ্তাইয়ে ৬ জন সেনা সদস্য কর্তৃক এসএসসি পরীক্ষার্থী এক মারমা কিশোরীকে গণধর্ষণ ও একই দিন রাতে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নির পাগলা পাড়া এলাকায় রহমত উল্ল্যাহ নামের এক বাঙালি কর্তৃক পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটে, যা খুবই উদ্বেগ জনক। পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত সেনাবাহিনী ও সেটলাররা পাহাড়িদের ধ্বংস করে দেয়ার লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা সংঘটিত করছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।

বক্তারা আরও বলেন, কাপ্তাইয়ের এই গণধর্ষণের ঘটনার আগে ২০১৮ সালে বিলাইছড়িতেও একইভাবে সেনা সদস্য দ্বারা দুই মারমা বোন ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। সে সময় ঘটনায় সেনাদের যদি বিচার হতো তাহলে আজকে কাপ্তাইয়ে গণধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটতো না।

বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যুগ যুগ ধরে সেনাশাসন জারি রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামে কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। নারী নির্যাতনসহ অন্যায় দমন-পীড়নে পাহাড়ি জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। পাকিস্তানি হানাদারদের ন্যায় যারা মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন, হত্যা-গুম করে, জনগণের ওপর অন্যায় দমন-পীড়ন চালায় এমন সেনাবাহিনী আমবা পার্বত্য চট্টগ্রামে চাই না। ধর্ষণকারী যেই হোক তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে কাপ্তাইয়ে মারমা কিশোরীর ধর্ষক সেনা সদস্যদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং রামগড়ে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত রহমত উল্ল্যাহর উপযুক্ত সাজা নিশ্চিত করার দাবি জানান।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।


সিএইচটি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.