রামগড় : খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের নাঙেল আদাম ও গরুকাটা এলাকায় পাহাড়িদের ঘরবাড়িতে হয়রানিমূলক তল্লাশি চালিয়েছে যৌথবাহিনী।
জানা যায়, গতকাল শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮) বিকাল ৫টার দিকে মানিকছড়ির বাটনাতলী আর্মি ক্যাম্প থেকে ২টি জীপ গাড়িতে করে একদল সেনা সদস্য তৈচাকমা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেয়। রাত ১০টার দিকে গুইমারা ব্রিগেড থেকে আরো একদল সেনা সদস্য তাদের সাথে যোগ দেয়। এরপর রাত ১২টার দিকে সেনা সদস্যরা বড় বেলছড়ি ও গ্লোব বাগান হয়ে নাঙেল আদামের দিকে যায়। এ সময় তৈচালা ও খাগড়াবিল ক্যাম্প থেকে একদল বিজিবি সদস্যসহ রামগড় থানা পুলিশ নাঙেল আদামে গিয়ে সেনাদের সাথে যোগ দেয়। পরে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা রাত ১.০০টা থেকে ২:৩০টা পর্যন্ত নাঙেল আদাম ও গরুকাটা এলাকায় অভিযানের নামে পাহাড়িদের ঘরবাড়িতে তল্লাশি চালায়।
যাদের বাড়িঘরে তল্লাশি চালানো হয় তারা হলেন- ১. বিশু ত্রিপুরা (৩৫) পিতা: মৃত রসচন্দ্র ত্রিপুরা, গ্রাম- নাঙেল আদাম; ২.রঙ্গিলা চাকমা (৪৭) পিতা- নীল কুমার চাকমা, গ্রাম-গরুকাটা, ৩. রাজেন্দ্র ত্রিপুরা, পিতা-বিশীয়া ত্রিপুরা, গ্রাম- গরু কাটা, ৪. অংগ্যজাই মার্মা (৪৫) পিতা-মৃত দুলাঅং মার্মা, গ্রাম- গরু কাটা। এছাড়া যৌথ বাহিনীর সদস্যরা নাঙেল আদামের বাসিন্দা সুমিতা চাকমা, স্বামী- মৃতঃ বিজু চাকমা-কে পাঁচ দিনের মধ্যে জায়গা ছেড়ে চলে যেতে হুমকি দিয়েছে। কয়েকদিন আগে বিজিবি সদস্যরা তার বাড়ি ভেঙে দিয়েছিল।
মনিন্দ্র ত্রিপুরার হত্যাকারী মোঃ এবায়দুল যৌথ বাহিনীর সাথে ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তার নামে রামগড় থানায় হত্যা মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরে নাঙেল আদামে বসবাসরত পাহাড়িদের উচ্ছেদে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছে বিজিবি সদস্যরা। ইতিমধ্যে ঘরবাড়ি ভেঙে দেয়া, স্কুল নির্মাণে বাধাদান, অন্যায় ধরপাকড়সহ নানা হুমকি-ধমকি প্রদান করা হয়েছে পাহাড়িদের।
যৌথ বাহিনীর এমন হয়রানিমূলক তল্লাশি ও হুমকির কারণে এলাকার পাহাড়িদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
———————-
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।