সিএইচটিনিউজ.কম
দীঘিনালা প্রতিনিধি: “২১ শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার ডাক, সকল জাতিসত্তার নিজস্ব মাতৃভাষা মুক্তি পাক” এই শ্লোগানে জাতিসত্তার পরিপূর্ণ বিকাশে মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষাসহ পিসিপি’র শিক্ষা সংক্রান্ত ৫ দফা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে “বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ”(পিসিপি) দীঘিনালা উপজেলা ও দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজ শাখা।
বুধবার সকাল ১০টায় দীঘিনালা ইউপিডিএফ কার্যালয়ের সামনে থেকে হাতে লেখা বিভিন্ন প্লেকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। বাংলা আমার ভাষা নয় চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ভাষায় পড়তে চাই, পিসিপি’র শিক্ষা সংক্রান্ত ৫দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন কর, পঞ্চদম সংশোধনী বাতিল কর, স্ব স্ব জাতিসত্তার স্বীকৃতি দাও এ রকম বিভিন্ন শ্লোগান লেখা প্লেকার্ড হাতে মিছিলটি উপজেলা কমপ্লেক্স, বাস ষ্টেশনসহ, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের রাস্তার মোড়ে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশ ও মিছিলে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শতশত ছাত্র-ছাত্রী অংশ গ্রহণ করে।
সমাবেশের বক্তারা পিসিপি’র শিক্ষা সংক্রান্ত ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন এবং তা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান।
বক্তারা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, বাংলা ভাষার জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে ১৯৫২ সালে অনেক ছাত্র শহীদ হয়েছেন। অথচ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সরকার দেশের বাঙালি ভিন্ন অন্যান্য জাতিসত্তা সমূহের ভাষার স্বীকৃতি দেয়নি। বরং সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জাতিসত্তাসমূহের উপর বাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ দীঘিনালা উপজেলা শাখার সভাপতি জহেল চাকমা সভাপতিত্বে এবং ডিগ্রি কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক অমর বিকাশ চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা শাখার অর্থ সম্পাদক সুনীল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সদস্য রূপেশ চাকমা এবং দীঘিনালা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কনক জ্যোতি চাকমা।
উল্লেখ্য, পিসিপি’র শিক্ষা সংক্রান্ত ৫দফা দাবি হলো- ১.পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল জাতিসত্তার মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, ২.জাতিসত্তার প্রতি অবমাননাকর যে কোন বক্তব্য পাঠ্য পুস্তক থেকে বাদ দিতে হবে, ৩.পাহাড়ি জাতিসত্তার সঠিক ও সংগ্রামী রাজনৈতিক ইতিহাস সম্বলিত ইতিহাস পার্বত্য চট্টগ্রামের স্কুল ও কলেজের পাঠ্যক্রমে অর্ন্তভূক্ত করতে হবে, ৪.বাংলাদেশের সকল জাতিসত্তার সংক্ষিপ্ত সঠিক তথ্য সম্বলিত পরিচিতি মূলক পুস্তক বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রমে অর্ন্তভূক্ত করতে হবে, ৫.পার্বত্য কোটা বাতিল করে পাহাড়ি কোটা চালু করতে হবে।
———————–
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।