সেনাবাহিনীর নির্দেশে পূর্ণচন্দ্র কার্বারি পাড়ার দিনন্ত ত্রিপুরার বাড়িটি ভেঙে ফেলতে বাধ্য হলো গ্রামবাসীরা

0

সেনাবাহিনীর নির্দিশে দিনন্ত ত্রিপুরার বাড়িটি ভেঙে ফেলতে বাধ্য হয়েছে গ্রামবাসীরা।


খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ

মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

সেনাবাহিনীর নির্দেশে খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়া ইউপি’র পূর্ণচন্দ্র কার্বারী পাড়ার দিনন্ত ত্রিপুরার বাড়িটি ভেঙে ফেলতে বাধ্য হয়েছে গ্রামবাসীরা।

গত সোমবার (২১ এপ্রিল ২০২৫) ভোরে সেনাবাহিনীর একটি দল পূর্ণচন্দ্র কার্বারি পাড়ায় হানা দিয়ে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালায় এবং বাড়ির দরজা-জানালাসহ ওয়াল ভেঙে দেয়। বাড়িতে থাকা বইপত্র-কাগজপত্র আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এমনকি রোপনের জন্য রাখা আদা, হলুদ, কচু, শিমের বীজ পর্যন্ত তারা নিয়ে গেছে।

এ সময় সেনারা গ্রামের ৮ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে আটকে রেখে হেনস্তা ও হয়রানি করে। পরে তাদেরকে ছেড়ে দিলেও আজ (মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল) সকালে দেওয়ান পাড়া সেনাক্যাম্পে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

নির্দেশমত আজ সকালে হেনস্তার শিকার উক্ত গ্রামবাসীরা দেওয়ানপাড়া সেনা ক্যাম্পে হাজির হতে গেলে সেনারা ইউপিডিএফ সংগঠক অংগ্য মারমার ছবি দেখিয়ে তার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় সেনারা গ্রামে ইউপিডিএফের লোকজন আসলে তাদেরকে খবর দিতে বলে এবং দিনন্ত ত্রিপুরার বাড়িটি ভেঙে দিতে নির্দেশ দেয়। পরে ক্যাম্প থেকে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এরপর ক্যাম্প থেকে পাড়ায় ফিরে এসে উক্ত গ্রামবাসীরা অপরাপর গ্রামবাসীদের সাথে আলোচনা করেন। পরে হয়রানি ও নিপীড়ন থেকে বাঁচার জন্য তারা দিনন্ত ত্রিপুরার বাড়ির চাল ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন এবং তা ভেঙে ফেলেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার সেনাবাহিনীর তল্লাশি ও ভাঙচুরের পর বাড়িটি অনেকটা ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছিল। সেনারা বাড়িটির জানালা, দরাজা ওয়াল সব ভেঙে চুরমার করে দেয়। বাড়িটি তল্লাশিকালে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি ব্রিগেডের কমাণ্ডার ব্রিগেডিয়ার শরীফ মো. আমান হাসান। এ সময় তিনি নিজেই উক্ত গ্রামবাসীদের হেনস্তা ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ গ্রামের কার্বারিকে সামনে নিয়ে এসে কড়াভাষায় কথাবার্তা শুনিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More