কল্পনা চাকমা অপহরণের ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষে

১০ জুন চট্টগ্রামে হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও নারী সংঘের সমাবেশ

0

চট্টগ্রাম : কল্পনা চাকমাকে অপহরণের ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘চিহ্নিত অপহরণকারী লে. ফেরদৌস গংকে শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক রক্ষা, উপযুক্ত সাজা প্রদানে কালক্ষেপনের প্রতিবাদে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে অব্যাহত যৌন আক্রমণ, নারীর সম্মান-মর্যাদা ও জীবন রক্ষার্থে সরকার-প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও চিহ্নিত অপরাধীদের প্রশ্রয় দানের বিরুদ্ধে’ হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের যৌথ উদ্যোগে আগামীকাল শুক্রবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম মহানগরের চেরাগী পাহাড় মোড়ে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মিনাকি চাকমা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

HWF kalpana abduction day prgm posterসমাবেশে উক্ত দুই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র, যুব ও নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন। সমাবেশ সফল করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহের জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সংবাদ কর্মিদের (সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিক, টিভি ক্যামেরা সাংবাদিক) সাদর আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এদিকে সমাবেশ উপলক্ষে হিল উইমেন্স ফেডারেশন একটি পোস্টার প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম নগরীসহ বিভিন্ন স্থানে পোস্টারিং করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী কল্পনা চাকমা ১৯৯৬ সালের ১২ জুন রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন নিউ লাল্যাঘোনা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে লে. ফেরদৌস ও তার দোসরদের দ্বারা অপহৃত হন।

সরকার আজ পর্যন্ত তাকে উদ্ধার কিংবা অপহরণকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশে বিদেশে ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে তৎকালীন সরকার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আব্দুল জলিলকে প্রধান করে একটি তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ১৯৯৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেয়। ৪০ পৃষ্ঠার ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে কল্পনা চাকমা হয় উদ্দেশ্যমূলকভাবে নতুবা বলপূর্বক অপহৃত হয়েছেন, তবে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে কারা অপহরণ করেছে তাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।

অপরদিকে পুলিশও থানায় দায়ের করা এজাহারের ভিত্তিতে তদন্ত চালায়। মামলা দেয়ার চৌদ্দ বছর পর ২০১০ সালের ২১ মে বাঘাইছড়ি থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রথম চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলার বাদী কালিন্দী কুমার চাকমা উক্ত প্রতিবেদনের উপর নারাজী আবেদন করলে আদালত ২০১০ সালের ২ সেপ্টেম্বর অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা এর দু’ বছর পর ২০১২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এই দু’টি তদন্তও করা হয়েছে বিচারপতি আব্দুল জলিলদের তদন্ত কমিটির মতো ঘটনাস্থল পরিদর্শন ছাড়া এবং গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের জবানবন্দী গ্রহণ ব্যতিরেকে।

সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনের উপরও নারাজী দেয়া হলে আদালত ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারী আরো অধিকতর তদন্তের জন্য রাঙামাটি পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। তিনি আজ পর্যন্ত তার প্রতিবেদন দাখিল করেননি। উপরন্তু বিজ্ঞ আদালতে কালিন্দী কুমার চাকমার ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি প্রার্থনাসহ নানা অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে এসে কালক্ষেপন করে চলেছেন।
—————–

সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More