খাগড়াছড়িতে তিন সংগঠনের প্রচার মিছিলে পুলিশি বাধা, নেতাদের কঠোর হুঁশিয়ারি
খাগড়াছড়ি : টানটান উত্তেজনা ও সেনা-পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ও বাধার মুখে খাগড়াছড়িতে মুখোশবাহিনী প্রতিরোধ দিবস ও শহীদ অমর বিকাশ চাকমার ২২তম মৃত্যু বার্ষিকীর প্রচারণা মিছিল করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ) খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।
৬ মার্চ ২০১৮ (মঙ্গলবার) বিকাল ৫টায় খাগড়াছড়ি সদরস্থ ইউপিডিএফ’র অফিস থেকে মিছিলটি শুরু হয়। কিছুদূর যাওয়ার পর স্বনির্ভর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে মিছিলটি পৌঁছলে সেখানে পুলিশের বাধার মূখে পড়ে। এসময় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে নেতা কর্মীদের তুমুল বাকবিতণ্ডা চলে। আরো ব্যাপকভাবে পুলিশ মোতায়ন করা হয়। প্রশাসনের অন্যায় বাধাদান, অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিস্ট আচরণের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীরা মুর্হুমুর্হু স্লোগান দিয়ে এলাকা প্রকম্পিত করে তোলে।
পরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখান থেকে মিছিলটি ফিরে শহীদ অমর বিকাশ চাকমার সড়কে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি তপন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা।
সমাবেশ থেকে বক্তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে প্রশাসনের বাধা প্রদানকে অন্যায়, অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী আচরণ আখ্যায়িত করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বক্তারা বলেন, সেনাবাহিনী ও প্রশাসন পরিকল্পিতভাবে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল ও অশান্ত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বক্তারা বলেন, আমরা পিসিপি’র সেই গর্বিত উত্তরসূরি যারা ১৯৯৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারিতে ১৪৪ ধারা বীরত্বের সাথে ভেঙেছিল। জনগণকে সাথে নিয়ে ১৯৯৬ সালে সেনা আশ্রয়ে থাকা মুখোশ বাহিনীকে কঠোরভাবে দমন করেছিল। অতীতে সেনা-প্রশাসনের যে কোন অন্যায় খবরদারি ও চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র বরদাস্ত ছাত্র সমাজ করেনি, ভবিষ্যতে করবে না। শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করা হলে এর দায়দায়িত্ব সরকার-সেনা-প্রশাসনকে নিতে হবে।
বক্তারা সমাবেশ থেকে দ্ব্যর্থহীনভাবে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, সেনাবাহিনী ১৯৯৬ সালে শত শ্রম ও প্রচেষ্টা এবং অবশেষে জনতার বুকে গুলি চালিয়েও তৎসময়ের মুখোশবাহিনীকে রক্ষা করতে পারেনি, ২০১৭তে সেনা ঔরসে জম্ম নেয়া নব্য মুখোশবাহিনীকেও তারা রক্ষা করতে পারবে না। অতীতের মতো তিন সংগঠনের নেতৃত্বে সেনাসৃষ্ট নব্য মুখোশবাহিনীকে জনগণ কঠোরভাবে দমন করবে।
_______
সিএইচটিনিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্রউল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।