আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন :
গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে নিপীড়িত জাতিসত্তাসমূহের অধিকার আদায়ে ব্যালট একটি হাতিয়ার
সর্ব কালের বিশৃঙ্খলাকে ছাপিয়ে দেশে এখন চরম অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ধরনের পটভূমিতে দেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণ থেকে দেশবাসী প্রত্যক্ষ করল প্রধান নির্বাচন কমিশনার আসলেই নিরপেক্ষ নন। নির্বাচন এক মাস পেছানোর অত্যন্ত যৌক্তিক ও সঙ্গত দাবি উপেক্ষা করা, নির্বাচনী তফশিল পুননির্ধারণের নামে দায়সাড়াভাবে এক সপ্তাহ পেছানোর মধ্যে কমিশনের কোন সুবিবেচনা বা দূরদর্শিতার প্রতিফলন নেই। দুঃখজনক হচ্ছে সরকারের মর্জি মাফিক দিন-ক্ষণ চূড়ান্ত করার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীন মহলের আজ্ঞাবহ হিসেবে নিজেদের প্রতিপন্ন করল। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের ওপর অযৌক্তিক বিধি নিষেধ আরোপ, ছবি তোলা, মিডিয়ার কর্মীদের সাথে কথা বলা নিষিদ্ধ করে দেয়ায়, ভোট কেন্দ্রে অনিয়ম জালিয়াতির কোন প্রামাণ্য দলিল পর্যবেক্ষকদের হাতে থাকবে না। পর্যবেক্ষকদের “মূর্তি” বা “পুতুল” হিসেবে দেখতে চাওয়া বাস্তবিক উদ্বেগের বিষয়। এ নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে বড় ধরনের খটকা থেকেই গেল! তাছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রাথমিক শর্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনও তৈরি হয় নি। ইভিএম নিয়ে বিরোধী দলছাড়াও দেশের এত প্রযুক্তিবিদ জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তির প্রবল আপত্তি-প্রতিবাদ-বিতর্ক সত্ত্বেও ইভিএম ব্যবহারের ব্যাপারেও নির্বাচন কমিশন অনড় রয়েছে। সরকার নির্বাচন কমিশনকে সুবিধামতো ব্যবহার করা ছাড়াও বিরোধীপক্ষকে দমিয়ে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এবার খালি মাঠে গোল দেয়া সহজ হবে না, মনে হয় ক্ষমতাসীন দল এমন কিছু আন্দাজ করতে পেরেছে। যার কারণে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নামে অজস্র মিথ্যা মামলা, ধরপাকড়, অপহরণ-গুম-হত্যা, কোন অপকর্ম কমতি রাখে নি। অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে পুলিশ “মৃত” ও “সৌদি আরবে হজ্ব পালনকারী” ব্যক্তির নামেও গায়েবি মামলা করেছে বলে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।
বার বার একই ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটানো যাবে না। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে শাসকগোষ্ঠীর প্ররোচনায় বিভ্রান্ত না হয়ে পার্বত্যবাসীকে এবার সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে, নচেৎ আরও দুর্দশার অতলে তলিয়ে যেতে হবে।#
————————-
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।