গুইমারায় সেনাবাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধিতে জনমনে আতঙ্ক

0


গুইমারা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ

শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

খাগড়াছড়ির গুইমারায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর হামলা, হত্যাকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্তরা এখনো মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। সেদিনের হামলায় অনেকে ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমতাবস্থায় আবারো সেনাবাহিনীর ব্যাপক তৎপরতায় এলাকার জনমনে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সেনাবাহিনীর এমন তৎপরতায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমে ব্যাঘাত সষ্টি হতে পারে বলে সচেতন মহল আশঙ্কা করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত গভীর রাত ২:৩০টার সময় গুইমারা ব্রিগেড হতে ১১টি গাড়িযোগে প্রায় ১০০ জন সেনা সদস্য উপজেলার পূর্বাংশে গিয়ে বরইতলী উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থান নেয়। আজ (শনিবার)  দিনভর সেখানে অবস্থান করার পর সন্ধ্যা ৭টার সময় বরইতলী পার্শ্ববর্তী এলাকায় কুকিছড়া, সাইংগুলি পাড়া এলাকায় টহলে নামে। এতে এলাকার জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।  

স্থানীয় একজন কার্বারি এ প্রতিবেদককে সেনাবাহিনীর অবস্থানের কথা জানিয়ে জনগণ আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানান।

অপরদিকে, রাত আটটায় এই রিপোর্ট লেখার সময় গুইমারা সদর থেকে পায়ে হেঁটে ৩০ জনের আরো একটি সেনা দল সাইংগুলি পাড়ার দিকে আসার কথা জানিয়েছে স্থানীয়রা।

এদিকে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সেনা-সেটলার মিলে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনাস্থল রামসু বাজারের পাশে বাংকার বানিয়ে সেনারা যুদ্ধংদেহি ভাব নিয়ে অবস্থান করছে এবং সার্বক্ষণিক ড্রোন উড়িয়ে নজর দারি করছে বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

এমন দুর্যোপপূর্ণ পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর এমন ভীতিজনক তৎপরতা ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বিতরণে প্রভাব পড়তে পারে বলে সচেতন মহল মনে করছেন। তারা ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে বা বাধা সৃষ্টি না হয় সেজন্য প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২৮ সেপ্টেম্বর হামলার ঘটনা পর পুলিশ বাদী হয়ে গুইমারা থানায় কয়েকশ’ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে হয়রানিমূলকভাবে গণগ্রেফতার করা হতে পারে- এমন আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। ফলে তারা নানা আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More