Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.
নান্যাচর প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
রাঙামাটির নান্যাচরে সেনাবাহিনী কর্তৃক বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)-এর নান্যাচর মডেল উচ্চ বিদ্যালয় শাখার দপ্তর সম্পাদক ও দশম শ্রেণীর ছাত্র সোহেল চাকমা ওরফে দীপায়নকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে আগামীকাল ৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার নান্যাচর উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। আজ ৫ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টায় নান্যাচরে এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়। নান্যাচর উপজেলার টিএন্ডটি বাজারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নান্যাচর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক অনিল চাকমা এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী বিনা কারণে সোহেল চাকমাকে গ্রেফতার করেছে। তিনি অবিলম্বে সোহেল চাকমাকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
তিনি অবরোধ কর্মসূচি সফল করার জন্য উপজেলার সকল যান মালিক, শ্রমিক ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে নান্যাচরে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কর্মীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কুদুকছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। বিকাল ৩টায় কুদুকছড়ির বড় মহাপুরম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কুদুকছড়ি বাজার প্রদক্ষিণ করে ইউপিডিএফ কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি বিলাস চাকমা ও দপ্তর সম্পাদক তাপুমনি চাকমা এতে বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, নান্যাচরে সেনাবাহিনী একের পর এক পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করছে।
বক্তারা অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সোহেল চাকমাকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
উল্লেখ্য, আজ ৫ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর ১২টার সময় নান্যাচর বাজার থেকে সেনাবাহিনী নান্যাচর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সোহেল চাকমা, সুপায়ন চাকমা ও প্রশান্ত চাকমাকে গ্রেফতার করে। এ সময় তারা ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ছাত্র সমাবেশ সফল করতে কুপনের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করছিলেন। সেনারা গ্রেফতারের পর তাদের জোনে নিয়ে যায়। সেখান থেকে দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সুপায়ন চাকমা ও প্রশান্ত চাকমাকে ছেড়ে দিলেও সোহেল চাকমাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।