বরকলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেনীর এক পাহাড়ি স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ !

0

সিএইচটিনিউজ.কম ডেস্ক:
রাঙামাটির বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নের বরুনাছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণীর এক এক পাহাড়ি ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে থানায় এখনো কোন মামলা করা হয়নি। তবে ওই প্রধান শিক্ষক জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে উল্টো অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন।

Borkalএলাকাবাসী ও ছাত্রীর অভিভাবকরা জানায়, গত সোমবার বিদ্যালয় ছুটির পরে তৃতীয় শ্রেণীর এক পাহাড়ি স্কুল ছাত্রীকে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীটিকে ঝাপটে ধরে শরীরের বিভিন্ন ষ্পর্শকাতর স্থানে ষ্পর্শসহ ধর্ষণের চেষ্টা করে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। ছাত্রীটির চিৎকারে তার সহপাঠিরা এগিয়ে এলে তাকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনার ব্যাপারে কাউকে না জানানোর জন্য প্রধান শিক্ষক ছাত্রীটিকে বারণ করেন। বাড়িতে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের অভিভাবকদের ঘটনাটি জানালে এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সাথে সাথে গ্রাম্য সালিশ সভায় প্রধান শিক্ষক ও ছাত্রীটিকে ডেকে ঘটনাটি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সভায় প্রধান শিক্ষক ঘটনাটি স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিমল কান্তি চাকমা ও এলাকার মুরব্বী নরসিংহ চাকমা।

ছাত্রীটির বাবা জানান, মা বাবার পরে শিক্ষকের আসন। শিক্ষকের কাছে যদি ছাত্রীর নিরাপত্তা না থাকে তাহলে কার কাছে থাকবে? এ ঘটনায় তারা মর্মাহত। এমন ঘটনা যাতে আর কোন ছাত্রীর জীবনে না ঘটে তার জন্য এ প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করছেন ছাত্রীটির মা বাবাসহ এলাকার মানুষ।

প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ঘটনাটির বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে এলাকায় একটি স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করে মান সম্মানের উপর আঘাত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করছেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল বাসার শামসুজ্জামান জানান, ঘটনাটির সর্ম্পকে তিনি অবগত রয়েছেন। তবে ঘটনাটি তদন্তের জন্য অতিদ্রুত একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়ে ঘটনার সত্যটার প্রমাণ পাওয়া গেলে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

সূত্র: হিলবিডিটোয়েন্টিফোর ডটকম
————

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More