বাজারি শোষণের মদতদাতা সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম তীব্রতর করুন– জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

0

ঢাকা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
সোমবার, ২২ মে ২০২৩

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ও বাজারি শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল আজ সোমবার (২২ মে ২০২৩) বিকেল ৪:৩০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (টাফ) কেন্দ্রীয় সদস্য দেলোয়ার হোসেন, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক এহতেশামুল হক ঈমন ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল ঢাকা অঞ্চল সংগঠক হেমন্ত দাষ। সমাবেশে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম সাধারণ সম্পাদক জিকো ত্রিপুরা, বাঙলাদেশ লেখক শিবিরের রফিক আহমেদ ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের অর্ণব চাকমা।

সমাবেশের সভাপতি ফয়জুল হাকিম বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণের জীবন আজ বিপর্যস্ত। বাজারি শোষণে নিম্নবিত্ত মানুষ, শ্রমজীবী মানুষ আজ দিশেহারা।

তিনি বলেন, সরকারের উপমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের মধ্যে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে একটি জাতীয় দৈনিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সিণ্ডিকেট গঠন করে যে ব্যবসায়ীরা এই লুটপাট করে চলেছে তার বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। কারণ এই সরকার হচ্ছে মূলত ব্যবসায়ীদের সরকার। এই লুটেরা ব্যবসায়ী শাসক শ্রেণী ১৯৭২ সাল থেকে অর্থনীতি ক্ষেত্রে অবাধ লুণ্ঠন দুর্নীতি চালিয়ে এসে এখন দানবে পরিণত হয়েছে। এই দানবদের হাত থেকে মুক্তি পেতে জনগণকে রাস্তায় নামতে হবে।

দেলোয়ার হোসেন বলেন,বাজারি শোষণের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।নামকাওয়াস্তে টিসিবির ট্রাক নামিয়ে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করছে যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। সারা দেশে পূর্ণ রেশনিং এর দাবী তুলে তিনি বলেন,রাস্তায় প্রতিবাদে নামা ছাড়া জনগণের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।

নীতি চাকমা বলেন,বাজারে গেলে দেখা যায় প্রতিটি জিনিসের দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে।অথচ নিম্ন আয়ের মানুষ, শ্রমজীবী জনগণের আয় বা মজুরি বাড়েনি। সন্তান-সন্ততি নিয়ে তারা এক দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন। অন্যদিকে সরকারের মন্ত্রীরা তথাকথিত উন্নয়নের ঢোলে বাড়ি মারছেন।

এহতেশামুল হক ঈমন বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় সরকারের মন্ত্রী এমপি আমলারা ফূর্তি করে বেড়াচ্ছেন। দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন অথচ বাজারি শোষণ বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় এই ধরনের মন্ত্রী এমপির ভার জনগণ কেন বহন করবে?

হেমন্ত দাষ বলেন, বাংলাদেশ কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। এই দেশ লাখ শহীদের জীবনের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি। একে লুটেরা ব্যবসায়ী শাসক শ্রেণীর হাতে ধ্বংস হতে দিতে পারি না। তিনি হাসিনা সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদের সংগ্রামে এগিয়ে আসার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।


সিএইচটি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More