লামা-আলীকদম সড়কে মোটর সাইকেলে যাত্রী পরিবহন বন্ধের দাবীতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট

0

বান্দরবান প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
picবান্দরবানের লামা, আলীকদম, চিরিঙ্গা, থানছি ও সুয়ালক সড়কে মোটরসাইকেলে করে যাত্রী পরিবহন (রিজার্ভ ভাড়া) বন্ধের দাবীতে মঙ্গলবার সকাল থেকে পরিবহনের মালিক ও শ্রমিকেরা সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে ধর্মঘট শুরু করেছে। ধর্মঘটের কারনে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস, জীপ, মাহেন্দ্র,সিএনজিসহ সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, চাকুরীজীবি ও সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।

জানা গেছে, দীর্ঘ ৩০ বছরের অধিক  বান্দরবানের লামা-আলীকদমসহ প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলোতে গাড়ী সরবরাহ দিয়ে জনগনের সেবা দিয়ে আসছে পরিবহন মালিক কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি সরকারী-বেসরকারী উন্নয়নমূলক ও সেবাদান কাজেও সমান অবদান রেখে আসছে তারা। কিন্তু  সম্প্রতি একটি মহল অতিলাভের আশায় এসব সড়কে দেড় শতাধিক মোটর সাইকেল ক্রয় করে দৈনিক ৩০০-৪০০টাকা হারে ভাড়াটিয়া দিয়ে যাত্রী পরিবহন করে চলেছে। এতে করে গাড়ী মালিক সমিতিকে প্রতিনিয়ত গুনতে হয়েছে লোকসান। এই পরিবহন কাজে নিয়োজিত প্রায় ৫শতাধিক মালিক ও ২হাজারের বেশী শ্রমিক  তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে জিবীকা নির্বাহে দেখা দেয় হতাশা।

এদিকে বাস ও জীপ গাড়ীর নির্ধারিত ভাড়ার ২থেকে৩ গুন বেশী ভাড়া আদায় করছে মোটর সাইকেল চালকেরা। অধিকাংশ মোটরসাইকেল চালক অল্প বয়সে হওয়ায় পরিবহনে কোন বিধি-বিধান মানছেনা বলে অভিযোগ করেন পরিবহণ মালিক কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি মোটরসাইকেলে চারজন আরোহী নিয়ে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ফলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অকালে পঙ্গুত্ববরণ ও অনেকে প্রাণও হারিয়েছেন। আর এতে সরকার হারিয়েছে রাজস্ব।

লামা, আলীকদমও চকরিয়া পরিবহন মালিক সমিতির নেতা মোঃ হোসেন বলেন, কিছু স্বার্থনেস্বী মহল বেশী লাভের আশায় দেড় শতাধিক মোটরসাইকেল কিনে লামা, আলীকদম,চকরিয়া, সুয়লক ও থানছি সড়কে যাত্রী পরিবহন করে চলেছেন। মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন বন্ধের জন্য অনেকবার প্রশাসনকে অবহিত করেও কোন সাড়া না পাওয়ায় সর্বশেষ ৯মার্চ পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন বন্ধের সময় ১৭ মার্চ পর্যন্ত বেঁধে দেয়া হয়েছিল। এর কোন সুরাহা না পাওয়ায় ১৮মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।

লামা থানা ওসি মোঃ শাহ জাহান জানান, ধর্মঘট চলাকালীন এ পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের দাবীর প্রেক্ষিতে অর্ধ শতাধিক মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ ব্যাপারে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মর্কতা শামসুল নাহার সুমি বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলে বিভিন্ন রুটে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পরিবহন মালিক পক্ষকে আলোচনা করে সমাধানের জন্য ডাকা হয়েছে।  ছেবির ক্যাপশন ঃ লামা চকরিয়া সড়কে চলাচলকারী বাস গুলো  ধর্মঘটের কারনে কোন রুটে চলাচল করেনি।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More