গুইমারায় পার্বত্য চট্টগ্রামকে “জেলা উন্নীতকরণ” দিবসে আলোচনা সভা

0

গুইমারা প্রতিনিধি ।। খাগড়াছড়ির গুইমারায় আজ ০১ আগস্ট ২০২১, রবিবার  সকাল ১০টায় পার্বত‍্য চট্টগ্রামকে “জেলা উন্নতিকরণ” দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘পার্বত‍্য চট্টগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস অনুসন্ধান ব‍্যুরো’র ব্যানারে “ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের (১৮৬০-১৯৪৭) ক্ষয়ক্ষতি : আমাদের উপলব্দি ও শিক্ষা” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, পার্বত‍্য চট্টগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস অনুসন্ধান ব‍্যুরোর সদস্য সালকা ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক শুভ চাক, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় সদস্য থুইহ্লা প্রু মারমা, ইউপিডিএফ প্রতিনিধি ঝিমিত চাকমা প্রমুখ । সভাপতিত্ব করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার সভাপতি অনিমেষ চাকমা ও সভা পরিচালনা করেন শুভ চাকমা।

সভা শুরুতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনসহ ন্যায্য আন্দোলন করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। সঠিক ইতিহাস জেনেই তার ভিত্তিতে আমাদেরকে লড়াই সংগ্রাম এগিয়ে নিতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, গোটা ভারতীয় উপমহাদেশে ২০০ বছরের শাসনের মধ্যে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকরা ১৮৬০ সালের ১ আগস্ট স্বাধীন পার্বত্য রাজ্যকে “জেলা উন্নীতকরণ” আইন জারি করার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের শাসন কায়েম করে। দীর্ঘ ৮৭ বছর ধরে তারা পাহাড়ি মানুষদের উপর তাদের নিজস্ব আইন-কানুন চাপিয়ে দিয়ে শাসন করেছে। তাদের জারি করা বেশ কিছু আইন এখনো বহাল রয়েছে।

বক্তারা বলেন, ব্রিটিশ শাসন জারি হলে তাদের অন্যায় শাসন-শোষণ স্বাধীন পার্বত্য রাজ্যের তৎকালীন রাজন্যবর্গগণ নিরবে মেনে নেননি। তারা ঔপনিবেশিক শাসকদের অন্যায় শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন, প্রতিরোধ সংগ্রাম করেছেন। তাদের সেই প্রতিরোধ সংগ্রাম থেকে আমাদের অনেক শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে।

বক্তারা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনো নব্য ঔপনিবেশিক কায়দায় শাসন জারি রাখা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ আজ চরমভাবে নিপীড়িত, নিগৃহিত। বাংলাদেশ সরকার স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।

বক্তারা বলেন, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন বিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রাম থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মকে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More