দীঘিনালার নাড়াইছড়িতে সেনাবাহিনীর ‘অস্ত্র উদ্ধার’ নাটক সাজানোর পরিকল্পনা

দীঘিনালা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার নাড়াইছড়িতে সেনাবাহিনী ‘অস্ত্র উদ্ধার’ নাটকের পরিকল্পনা করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বর্তমানে ৭০ জন সেনা সদস্য নাড়াইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান করে অভিযান পরিচালনা করছে। এছাড়া আরেকটি দল ধনপাদা এলাকার পাকুজ্জেছড়ি, ধীরেন্দ্র ঘাট ও বর্বোপাড়া এলাকায় মাইনী নদীর তীরে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট দীঘিনালা সেনা জোন ও জারুলছড়ি সাবজোন থেকে ৮০ জনের একদল সেনা সদস্য ধনপাদা এলাকার পাকুজ্জেছড়িতে গিয়ে অবস্থান নিয়েছিল। পরে সেখানে ৫টি গাড়ি নিয়ে আরেকটি সেনাদল যুক্ত হয়। এরপর ২৬ আগস্ট সেনাদের ৭০ জনের একটি দল ধনপাদা এলাকায় ১০ জনের কাছ থেকে জোরপূর্বক ইঞ্জিনচালিত বোট নিয়ে নাড়াইছড়িতে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযানকারী সেনা কর্মকর্তাদের সাথে সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সদস্যদের মোবাইলে যোগাযোগ হয়ে থাকে। বর্তমানে জেএসএস সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সদস্যরা সেনাদলটির কাছাকাছি স্থানে অবস্থান করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
অভিযান শুরুর সময়ে মো. আরাফাত নামে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয় দেয়া এক ব্যক্তি এক পাহাড়িকে দু’টি মোবাইল নাম্বার থেকে কল করে (মোবাইল নাম্বারগুলো- 01869971524, 01841302628) ইউপিডিএফ সদস্যদেরকে সন্তু গ্রুপের নিকট স্যারেন্ডার করতে বলেন এবং তিনি সন্তু গ্রুপের সাথে যোগাযোগ করে দেবেন বলেও জানান। এছাড়া তিনি আরো বলেন, ‘ইউপিডিএফের লোকজন কোথায় থাকে তথ্য দিলে আমি তোমাকে সুযোগ সুবিধা দেবো’।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সেনারা আগামী রবিবার পর্যন্ত নাড়াইছড়ি-ধনপাদা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করতে পারে। তার আগে শনিবার “অস্ত্র উদ্ধার” নাটকটি মঞ্চস্থ করে রবিবার তা মিডিয়ায় প্রচার করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, বাবুছড়া ক্যাম্পের চেকপোস্ট, জারুলছড়ি ক্যাম্পের চেকপোস্ট ও ধনপাদা-পাকুজ্যাছড়ি এলাকায় মাইনী নদীর পাড়ে অস্থায়ী সেনা চেকপোস্ট প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় থেকে কোন জিনিসপত্র ছেড়ে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।