ঢাকা রিপোর্টার : ইউপিডিএফ নেতা মিঠুন চাকমার চিহ্নিত হত্যাকারী সেনাসৃষ্ট সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে আজ ১২ জানুয়ারি(শুক্রবার) বিকাল ৩.৩০ ঘটিকায় ঢাকা প্রেসক্লাবের সম্মূখে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে “প্রবাসী শ্রমজীবী ফ্রন্ট”।সাভার “প্রবাসী শ্রমজীবী ফ্রন্ট’র সভাপতি প্রমোদ জ্যোতি চাকমা’র সভাপতিত্বে ও সদস্য শান্তি চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা, বাংলাদেশ লেখ শিবিরের দপ্তর সম্পাদক মঈনউদ্দিন আহম্মেদ, ইউপিডিএফ-এর ঢাকা অঞ্চলের সংগঠক প্রতীম চাকমা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়নের সহ সভাপতি সুমন মল্লিক, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রিপন চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অনিল চাকমা ও চাকমা সাভার প্রবাসী শ্রমজীবী ফ্রন্ট এর সাংগঠনিক সম্পাদক কনক জ্যোতি চাকমা, সাধারণ সম্পাদক মিশন চাকমা।
বক্তারা বলেন শহীদ মিঠুন চাকমাকে শুধুমাত্র পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত, শোষিত জাতিসত্তাসমূহের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সীমাবদ্ধ ছিলেন না। তিনি সমগ্র দেশের অধিকার বঞ্চিত, নির্যাতিত মেহনতি মানুষের ন্যুনতম মৌলিক অধিকার আদায়ে সচেষ্ট, সোচ্চার নেতৃত্বদানকারী এবং অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তারা আরো বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও প্রতিটি সরকারই পাকবাহিনীর ন্যায় পার্বত্য এলাকাসহ সারা দেশের সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহের উপর অত্যাচার, নিপীড়ন-নির্যাতন, শোষণ করে চলেছে।
সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সকল সংখ্যালঘু জাতিসমূহের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে স্তদ্ধ করে দিতে, সংগ্রাম পরিচালনার নেতৃত্বকে মেধাশুন্য করার প্রয়াসেই রাষ্ট্রের সুদুর প্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সেনাবাহিনী কর্তৃক সৃষ্ট সন্ত্রাসী দ্বারাই মিঠুন চাকমাকে প্রশাসনিক বলয়ের মধ্যেই গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বক্তার অভিযোগ করে বলেন, মিঠুন চাকমা’র হত্যায় জড়িত সন্ত্রাসীরা চিহ্নিত এবং তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হলেও তারা প্রকাশ্যভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘোরাফেরা করছেন। এতে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, রাষ্ট্রের পরিকল্পনানুসারে সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে পার্বত্য চট্টগ্রামে এ সন্ত্রাসী বাহিনীর সৃষ্টি করা হয়েছে।
বক্তারা সমাবেশ থেকে অবিলম্বে মিঠুন চাকমা’র চিহ্নিত হত্যাকারী সেনাসৃষ্ট সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে বিচারে আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাব গেইট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পল্টন মোড় প্রদক্ষিন করে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়।
——————————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।