দীঘিনালায় লোগাং গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

0

দীঘিনালা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩

লোগাং গণহত্যা দিবস উপলক্ষে দীঘিনালায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

লোগাং গণহত্যার ৩১ বছর উপলক্ষে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ১০ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার বেলা ৩টার সময় বাবুছড়া এলাকায় অনুষ্ঠিত সভায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের দীঘিনালা উপজেলা সভাপতি জ্ঞান প্রসাদ চাকমার সভাপতিত্বে ও সুশীল চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ সংগঠক রিটেন চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দীঘিনালা শাখার সহ সভাপতি মিনা চাকমা।

সভা শুরুতে শহীদদের স্মরণের দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে লোগাং গণহত্যাসহ ডজনের অধিক গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। পাহাড়িদের বৈ-সা-বি উৎসবের ২ দিন আগে ১৯৯২ সালের ১০ এপ্রিল রাষ্ট্রীয় বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় লোগাং গণহত্যা সংঘটিত করা হয়। শত শত মানুষকে হত্যা ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে ছাড়খার করে দেওয়া হয়। দীর্ঘ ৩১ বছরেও এই বর্বর গণহত্যার কোন বিচার হয়নি. শাস্তি হয়নি অপরাধীদের।

বক্তারা আরো বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে রেশন সুবিধা দিয়ে সেটলার বাঙালিদের পাহাড়ি জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। ফলে সেটলারা ভূমি বেদখল, নারী নির্যাতন, গণহত্যা, সাম্প্রদায়িক হামলার মতো মানবতা বিরোধী অপরাধ করেও রেহাই পাচ্ছে। অপরদিকে সরকার ও তার নিয়োজিত বাহিনী পাহাড়িদের উপর অন্যায়ভাবে জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় বাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত উস্কে দিচ্ছে অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, গত ৪ এপ্রিল সেনাবাহিনীর সহায়তায় নব্যমুখোশ দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্য দিবালোকে দীঘিনালার পুকুরঘাট এলাকায় সেনা ক্যাম্পের পাশে ইউপিডিএফ’র এক সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে। এই সন্ত্রাসীরা গত ৭ এপ্রিল বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে বম জাতিসত্তার ৮ জনকে অপহরণ করে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের সরকার-প্রশাসন এখনো গ্রেফতার করেনি।

সভার সভাপতি জ্ঞান প্রসাদ বলেন, সরকারের উচিত ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত গণহত্যা বিচার করে অপরাধীদের শাস্তি দেয়া। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশে ক্ষমতার নানা পালাবদল ঘটলেও এসব ঘটনার বিচার তো দূরের কথা সকল সরকারই পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্যায়-অবিচার ও দমননীতি জারি রেখেছে। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে দিন দিন জটিল আকার ধারণ করছে।

তিনি লোগাং গণহত্যাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সকল গণহত্যার শ্বেতপত্র প্রকাশ করে যথাযথ বিচার ও অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান। একই সাথে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করে চলমান সমস্যাকে রাজনৈতিকভাবে সুষ্ঠূ সমাধানের মাধ্যমে স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।


সিএইচটি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More