লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন

0

khagrachari

খাগড়াছড়ি: লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুপার জ্যেতি চাকমাকে সেনাবাহিনী কর্তৃক আটক ও নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলা প্রদানের প্রতিবাদ জানিয়ে আজ সোমবার (০২ জানুয়ারি, ২০১৭) বিকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকার জনপ্রতিনিধিবৃন্দ ও জনগণ।

উক্ত মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পানছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জুম্ম জনপ্রতিনিধি সংসদের সভাপতি সর্বোত্তম চাকমা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা ও  খাগড়াছড়ি সদর ৪নং পেরাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তপন বিকাশ ত্রিপুরা। সভা পরিচালনা করে খাগড়াছড়ি ৪নং পেরাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সোনামুনি চাকমা। এছাড়া উক্ত সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নবকমল চাকমা, মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা ও ভাইবোনছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পরিমল বিকাশ ত্রিপুরা প্রমুখ।

জনপ্রতিনিধিগণ সুুপার জ্যোতি চাকমাকে অন্যায়ভাবে আটকের সমালোচনা করে বলেন, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী একজন সিনিয়র নাগরিক এবং উপজেলাবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি লক্ষীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমাকে আটকের ঘটনায় আমরা হতবাক হয়েছি। জনপ্রতিনিধিণ বলেন, পেশীশক্তি ব্যবহার করে সরকারী বাসভবন থেকে বিনা ওয়ারেন্টে গভীর রাতে অভিযান চালানো সম্পূর্ণ আইন বহির্ভুত এবং অন্যায় একটি কাজ।

বক্তাগণ এ সময় আরো বলেন, সাধারণ কোন নাগরিকের বাড়ি তল্লাশী করতে গেলে জনপ্রতিনিধি সাক্ষী রাখা হয় অথচ, উপজেলা চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমাকে আটকের সময় কোনো সাক্ষী বা জনপ্রতিনিধি রাখা হয়নি। গভীর রাতে তার সরকারী বাসভবনের দরজা ভেঙে তাকে অমানবিকভাবে আটক করা হয়। এ সময় তাকে পোশাক পরার সুযোগ পর্যন্ত তাকে দেয়া হয়নি।

বক্তাগণ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জনপ্রতিনিধিদের সম্মানের তোয়াক্কা করা হয় না। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে যদি এভাবে হেয় করা হয়, প্রশাসন যদি এভাবে অন্যায়ভাবে খড়গহস্ত হয় তবে আমরা কিভাবে জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করব?

জনপ্রতিনিধিগণ বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ করে এবং দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি সুপার জ্যোতি চাকমার বাসায় কোনো অস্ত্র ছিল না, তার অবৈধ অস্ত্র রাখা বা বহন করার কোন প্রশ্নই আসে না। তাকে অস্ত্র গছিয়ে দেয়া হয়েছে এবং নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে।

জনপ্রতিনিধিগণ পার্বত্য চট্টগ্রামের অসহনীয় পরিস্থিতির ব্যাখা করে বলেন, প্রথমে সাধারণ জনগণকে আটক করে মিথ্যা অস্ত্র মামলা দেয়া হয়েছে, তারপরে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে, এখন জনপ্রতিনিধিদের পর্যন্ত রেহাই দেয়া হচ্ছে না। এ ধরণের অন্যায় ধরপাকড় অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য জনপ্রতিনিধিগণ সরকারের প্রতি দাবি জানান।

মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে সুপার জ্যোতি চাকমার নিঃশর্ত মুক্তি এবং তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। যদি মুক্তি দেয়া না হয় এবং অন্যায় ধরপাকড় বন্ধ কর না  হয় তাহলে জনগণকে ঐক্যব্ধ করে বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষনা দেয়া হবে বলে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন থেকে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়।
—————-

সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More