দীঘিনালায় তামাক চাষে শিশুশ্রম বেড়েই চলছে

0

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম 
Tamak, Sisuখাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলায় সর্বত্র শিশু শ্রম ব্যবহার উদ্বেগ জনক হারে দিন দিন বেড়েই চলছে। এলাকার বিভিন্ন চা দোকান, বেকারী থেকে শুরু করে এমনকি বিষাক্ত নিকোটিন সমৃদ্ধ তামাক পাতা সংগ্রহ করার কাজে প্রাথমিক ও হাইস্কুল পড়ুয়া ছাত্ররা বিদ্যালয়ে না গিয়ে সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে কাজ করে। অজ্ঞ চাষিরা নিজেদের এবং অন্যের ছোট ছোট শিশু দিয়ে তামাকের কাজে ব্যবহার করছে । তারা তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানার পরও শিশুদের এই কাজে ব্যবহার করছে। সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য উন্নয়নমূলক কিছু কর্মসূচীর কথা বলা থাকলেও শিশুশ্রম বন্ধের কোন প্রতিষ্ঠানেরই তেমন কোন উদ্যোগ লক্ষনীয় নয়। নেই কোন আইনি পদক্ষেপ । শুধু পারিবারিক দারিদ্র মোচনের জন্য এসব স্কুলে পড়া বাদ দিয়ে শিশুরা এইসব কাজে লিপ্ত হচ্ছে।

শিশুশ্রম বন্ধের কঠোর আইন থাকলেও তা প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন না থাকায় তা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে অভিমত ব্যক্ত করেন  সুশীল সমাজের ব্যাক্তিরা । তাদের মতে, শিশুশ্রম বন্ধের জন্য  সরকারী প্রতিনিধি সমন্বয় একটি শক্তিশালী কমিশন গঠন করে এবং নিরব ছিন্ন পর্যবেক্ষন করতে হবে তাহলে তা বন্ধ করা সম্ভব হবে। যারা শিশুদেরকে শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করে তাদেরকে সচেতন করতে সরকারী ভাবে নোটিশ জারি করতে হবে অথবা প্রয়োজন হলে  জরিমানা বিধান রাখা হবে। আর সরকারী সংস্থার পাশাপাশি এনজিগুলো  ঋণ কার্যক্রমের পাশাপশি শিশুদের নিয়ে কাজ করতে হবে। এ ছাড়া শিশুরা কর্মস্থলে বড়দের দ্বারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়।

দীঘিনালা উপজেলায় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে তামাক কাজে নারী- পরুষের পাশাপাশি স্কুল পড়ুয়া শিশুরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে  তামাক পাতা সংগ্রহ কাজে করছে তামাকে ক্ষতিকর দিক সর্ম্পকে তারা জানেনা। জাতীয় শিশুশ্রম নীতি-২০১১অনুযায়ী ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সের শিশুরা কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে পারবে না । ৫ থেকে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুশ্রম দন্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু এই আইন শুধু কাগজ কলমেই, বাস্তবে কোন প্রয়োগ নেই।

খোজ নিয়ে দেখা যায় এসব কাজে নিয়োজিত শিশুরা বেশিভাগ মানসিক শারীরিকসহ নানা ঝুঁকির মধ্যে জীবন যাপন করেছে।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More