পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঁশ উৎপাদন বাড়াতে ইউপিডিএফ’র উদ্যোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিএইচটিনিউজ.কম
পার্বত্য চট্টগ্রামে এক সময় বন-জঙ্গল বাঁশে পরিপূর্ণ থাকলেও বর্তমানে সে ধরনের বাঁশবন নেই বললেই চলে। যতই দিন যাচ্ছে ততই উজার হয়ে যাচ্ছে বাঁশবন। চাহিদার তুলনায় কমে গেছে বাঁশের উৎপাদন।
প্রতি বছর হাজার হাজার বাঁশ কোড়ল বা বাচ্ছুরি সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি, বনের ওপর জনসংখ্যা বৃদ্ধির চাপ এবং অপরিকল্পিত বাঁশ আহরণের ফলে আগের তুলনায় বাঁশ উৎপাদন দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ) পার্বত্যাঞ্চলে বনজ সম্পদ রক্ষা ও বাঁশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রচারপত্র বিলি, পোস্টারিং, পাবলিক মিটিঙের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি ইত্যাদি।
কিছুদিন আগে ইউপিডিএফ’র খাগড়াছড়ি উপজেলা ইউনিট থেকে বাঁশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনসচেতনতামূলক একটি প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এক শ্রেণীর অসাধু বাঁশ কোড়ল বা বাচ্ছুরি সংগ্রহকারী প্রতিবছর হাজার হাজার বাচ্ছুরি সংগ্রহ করে সেগুলো হয় নিজেরা খাচ্ছেন অথবা বাজারে বিক্রি করছেন। এভাবে সংগ্রাহক, ব্যবসায়ী, বিক্রেতা-ক্রেতা সবাই মিলে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার বাঁশ সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে। বাচ্ছুরি সংগ্রহ নিয়ন্ত্রণ হলে কোটি কোটি টাকার বাঁশ সম্পদ রক্ষার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে। এই অর্থনৈতিক গুরম্নত্ব উপলব্ধি করেই বাচ্ছুরি নিধন বন্ধ করে বাঁশ সম্পদকে রক্ষা করতে হবে।
প্রচারপত্রে বাঁশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাঁশ কোড়ল বা বাচ্ছুরি সংগ্রহ, খাওয়া, ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবসা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এক সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম গাছ-বাঁশে ভরপুর ছিল। তখন ঝড়-বৃষ্টি ঠিকমতো হতো, কৃষক-জুমিয়ারা ভালো ফসল ফলাতে পারতো। মানুষের জীবন ধারনের জন্য প্রকৃতি যথেষ্ট সহায়ক ছিল। কিন্তু বর্তমানে পাহাড়গুলো বনজঙ্গল শূণ্য হয়ে ন্যাড়া পাহাড়ে পরিণত হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত গাছ-বাঁশ ধ্বংস করার ফলে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে।
—————-