বান্দরবানে সেনাবাহিনী কর্তৃক ৭ম শ্রেণীর ছাত্রকে গুলি করে হত্যা, পিসিপি’র নিন্দা

0

বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়িতে ক্যসিংমং মারমা (১৪) পিতা-হ্লানুমং মারমা নামে ৭ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রকে রোয়াংছড়ি ক্যাম্পের সেনা সদস্যরা গুলি করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র।

বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।

স্থানীয়দের তথ্যমতে, সোমবার (১২ নভেম্বর ২০১৮) রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে রোয়াংছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ক্যসিংমং মারমা তার দুই বন্ধুকে নিয়ে এলাকার বৌদ্ধ বিহার হয়ে ঘেরাউ রাস্তার পাশের দোকানে যাওয়ার পথে সিড়ি বেয়ে নিচে নামার সময় ওঁৎ পেতে থাকা লেফটেন্যান্ট ফারহানের নেতৃত্বে রোয়াংছড়ি সেনা ক্যাম্পের একদল সেনা সদস্য তাদের ওপর আচমকা গুলি বর্ষণ করে। অপর দুই বন্ধু প্রাণে বেঁচে গেলেও ঘটনাস্থলে ক্যসিংমং মারমা গুরুতর আহত হয়।

গুরুতর আহত অবস্থায় ক্যসিংমং মারমাকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রথমে রোয়াংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়। চট্টগ্রাম নেয়ার পথিমধ্যে রাত ১১.৪০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি বিপুল চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক সুনয়ন চাকমা আজ মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে উক্ত হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতি নেতৃদ্বয় বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের অগণতান্ত্রিক ১১ দফা নির্দেশনা জারির পর পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্যাতন, নিপীড়ন চরমভাবে বেড়ে গেছে। গত বছর রাঙ্গামাটি নান্যাচরে বাজার থেকে ফেরার পথে এইচএসসি পরিক্ষার্থী ও পিসিপি নান্যাচর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রমেল চাকমা সেনাবাহনীর নির্যাতনে মারা যায়।

বান্দরবানে ৭ম শ্রেণী ছাত্র ক্যসিংমং মারমাকে গুলি করে হত্যার ঘটনাও পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের অন্যতম দৃষ্টান্ত বলে নেতৃদ্বয় মন্তব্য করেন।

নেতৃদ্বয় অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ক্যসিংমং মারমা হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।

———————-

সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More