বাবুছড়ায় উচ্ছেদকৃত পাহাড়িদের সহায়-সম্পত্তি লুটেপুটে নিচ্ছে বিজিবি!

0

সিএইচটিনিউজ.কম

পাহাড়িদের এই বাড়িটিও দখলে নিয়েছে বিজিবি সদস্যরা
পাহাড়িদের এই বাড়িটিও দখলে নিয়েছে বিজিবি সদস্যরা

দীঘিনালা প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া এলাকার যত্ন কুমার কার্বারী পাড়া ও শশী মোহন কার্বারী পাড়ায় অবস্থানরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৫১ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা উচ্ছেদকৃত পাহাড়ি গ্রামবাসীদের সহায়-সম্পত্তি লুটেপুটে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত ১০ জুন পাহাড়ি গ্রামবাসীদের উপর হামলা চালিয়ে বিজিবি তাদেরকে নিজ বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করে। এরপর থেকে পাহাড়িরা আর নিজেদের ভিটেমাটিতে যেতে পারেননি। বর্তমানে তারা বাবুছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি কক্ষে গাদাগাদি করে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন। কাটাতারের ঘেরা দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে বিজিবি। ফলে কোন লোক আর সেখানে ঢুকতে পারে না। পাহাড়িদের অনুপস্থিতির সুযোগে তাঁদের ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পত্তি সবকিছু লুটেপুটে নিচ্ছে বিজিবি সদস্যরা।

পাহাড়িরা যখন উচ্ছেদের শিকার হয় তখন তারা গরু-ছাগল, হাস-মুরগি কোন কিছুই সঙ্গে নিতে পারেননি। কিন্তু এসব সহায়-সম্পত্তির এখন আর কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। গ্রামবাসীদের ঘর-বাড়ি ভেঙে দিয়ে বেড়া, টিন, খুঁটি সবকিছু তাদের ক্যাম্প নির্মাণের কাজে ব্যবহার করছে বিজিবি।

পাহাড়িদের বসতভিটা ও ফলজ বাগান দখল করে বিজিবি সদস্যদের অবস্থান
পাহাড়িদের বসতভিটা ও ফলজ বাগান দখল করে বিজিবি সদস্যদের অবস্থান

এছাড়া পাহাড়িদের কলা বাগান, পেয়ারা বাগান সহ বিভিন্ন ফলজ বাগানের ফলমুল ইচ্ছেমতো ভোগ করছে বিজিবি সদস্যরা। পাহাড়িদের বাগানের ফলমুল দিয়ে নিজেদের চাহিদা মেটানোর পর অন্যদেরও বিলি করছে তারা। তাদের এখন কলা-পেয়ারার কোন অভাব নেই। তারাই যেন এসব বাগান-বাগিচার মালিক! এ যেন ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের জন্য ‘আল্লাহর’ দান।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে ২০১৪ দিবাগত রাতে ৪নং দীঘিনালা ইউনিয়নের যত্ন কুমার কার্বারী পাড়া ও শশী মোহন কার্বারী পাড়ায় বিজিবি’র ৫১ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা পাহাড়িদের জায়গার উপর জোরপূর্বক অবস্থান গ্রহণ করে। এরপর ১০ জুন পাহাড়ি নারীরা নিজেদের জমিতে কলাচারা রোপন করতে গেলে বিজিবি তাদের উপর হামলা চালায়। এত ১৮ জন নারী-পুরুষ আহত হয়, যাদের অধিকাংশই নারী। এরপরপরই বিজিবি নিজ বসতভিটা ও জায়গা-জমি থেকে ২১ পরিবার পাহাড়িকে উচ্ছেদ করে।
————

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More