সিন্দুকছড়িতে নিরীহ গ্রামবাসীর জুম ঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে মহালছড়িতে বিক্ষোভ
মহালছড়ি প্রতিনিধি ।। সিন্দুকছড়ির ঠান্ডাছড়ি এলাকায় নিরীহ গ্রামবাসী ননজয় ত্রিপুরার জুম ঘরে অগ্নিসংযোগ ও পনে রঞ্জন ত্রিপুরার বাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদে মহালছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, মহালছড়ি উপজেলা শাখা।
আজ বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই ২০২১) বিকাল ৩টার সময় মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের মহালছড়ি উপজেলা শাখার মংশিপ্রু মার্মা ও খাগড়াছড়ি জেলা শাখার অর্থ সম্পাদক শান্ত চাকমা।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ২৯ জুন ২০২১ দিবাগত মধ্যরাতে সেনাবাহিনীর একদল সদস্য সন্ত্রাসী কায়দায় ঠান্ডাছড়ির ননজয় ত্রিপুরার জুম ঘরটি অগ্নিসংযোগ করে পুড়ে ছাই করে দিয়েছে এবং পঙ্খীমুড়ো এলাকায় পনে রঞ্জন ত্রিপুরা নামের আরেক গ্রামবাসীর বাড়িও ভেঙে দিয়েছে। এর আগে গত ১২ জুন একই কায়দায় সনে রঞ্জন ত্রিপুরার বাড়িটি ভেঙে দিয়ে তার জায়গাটি জবরদখল করা হয়। একটি গণতান্ত্রিক দেশের রাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনীর এহেন কার্যকলাপকে অগণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করেন বক্তারা।
সেনাবাহিনীর এমন কর্মকাণ্ডকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ আখ্যা দিয়ে বক্তারা আরো বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাতের অন্ধকারে কল্পনাকে অপহরণ করে, জনপ্রতিনিধিদের গ্রেফতার করে, নিরীহ জনগণের বাড়ি-ঘর ভাঙে, জ্বালিয়ে দেয় ও ভূমি বেদখল করে। তারা উন্নয়নের নামে, পর্যটনের নামে ভূমি বেদখল করে পাহাড়িদের উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্র করে। কিন্তু সরকার এর প্রতিকারে কোন পদক্ষেপ নেয় না। মূলত সরকারের মদদেই সেনাবাহিনী আমাদের পাহাড়ে এমন অত্যাচার, নিপীড়ন, নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো জঘন্য কার্যকলাপের দৃষ্টতা দেখায় বারবার।
বক্তারা হুঁশিয়ার দিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িরা তাদের এমন কর্মকাণ্ডকে আর বরদাস্ত করবে না। তারা পাহাড় থেকে অবিলম্বে সেনা শাসন তুলে নেয়ার জোর দাবি জানান।
বক্তারা অবিলম্বে ননজয় ত্রিপুরার ঘর জ্বালিয়ে দেয়া ও ঘরবাড়ি ভাংচুরের সাথে জড়িত সেনা সদস্যদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার ও পঙ্খীমুড়ো এলাকায় ভূমি বেদখল ও পাহাড়িদের উচ্ছেদের প্রচেষ্টা বন্ধ করার দাবি জানান।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।