ডেস্ক রিপোর্ট, সিএইচটি নিউজ
বুধবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৩

পার্বত্য চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক কমিশন (সিএইচটি কমিশন) বান্দরবানের লামায় ম্রো গ্রামে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার বিচার ও গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা বিধানের দাবি জানিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি ২০২৩) এক বিবৃতিতে কমিশন বলেছে সাম্প্রতিক উক্ত হামলা হলো ম্রোদের উপর এর আগে চালানো হামলাগুলোর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে সরকারের একের পর এক ব্যর্থতার ফল। উল্লেখ্য কমিশন গত ৩০ এপ্রিল ২০২২ ও ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ বিবৃতিতে ম্রো ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের জন্য ন্যায়বিচার, ভূমি অধিকার ও পরিবেশের সুরক্ষার দাবি করেছিল।
সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে কমিশন জানায় গত সোমবার (২ জানুয়ারি) সকাল [প্রথম প্রহর] ১:০০টার দিকে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের কয়েক শত ভাড়াটে গুন্ডা লাংকম কার্বারী পাড়ায় হামলা চালায়। তারা এক ডজনের অধিক বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায় এবং ম্রো গ্রামবাসীদের মোবাইল ফোন, গৃহস্থালীর সামগ্রী, হাঁস-মুরগী, গরু ছাগল ও অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ম্রোরা জীবন বাঁচাতে ভয়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ দীর্ঘদিন ধরে লামা উপজেলাধীন সরই ইউনিয়নের লাংকম কার্বারী পাড়া, জয় চন্দ্র ত্রিপুরা কার্বারী পাড়া ও রেনইয়েং কার্বারী পাড়ার আদিবাসীদের উপর একের পর এক সহিংস ও অগ্নি হামলা চালিয়ে আসছে বলে কমিশন বিবৃতিতে উল্লেখ করে। ‘আমরা আশা করি সরকার এবারে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেবে এবং আদিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’
কমিশন ভুক্তভোগীদের জন্য অবিলম্বে খাদ্য সাহায্য ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণেরও অনুরোধ জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশনের কো-চেয়ার সুলতানা কামাল, এলসা স্ট্যামাটোপৌলৌ এবং মিরনা কানিংহ্যাম কেইন।
*সিএইচটি কমিশনের প্রেস রিলিজটি পড়তে ক্লিক করুন এখানে।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।
সিএইচটি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন