দীঘিনালায় ১০ম শ্রেণীর এক পাহাড়ি স্কুল ছাত্রী ধর্ষিত, ধর্ষক ছাত্রলীগ নেতা আটক

0

সিএইচটিনিউজ.কম
Dighinala2দীঘিনালা: খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ১০ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক পাহাড়ি স্কুলছাত্রী (১৫) সেটলার বাঙালি (ছাত্র লীগের কর্মী) কর্তৃক গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গতকাল সোমবার (৯ মার্চ) রাতে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কবাখালী ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি মো: সোহেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, সোমবার সারারাত ব্যাপী দীঘিনালা বনবিহারে মহামঙ্গল সূত্র পাঠ অনুষ্ঠান হয়। বাবুছড়ার নুনছড়ি গ্রামের ওই স্কুল ছাত্রীটিও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসে। অনুষ্ঠান চলাকালীন দিবাগত রাত ১টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রী তার আত্মীয় সম্পর্কিত মিলন কার্বারীর ছেলে মানব চাকমা ও জারুলছড়ির যতীন বিকাশ চাকমার ছেলে সুজন জ্যোতি চাকমার সাথে মিলন কার্বারী বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।  যাবার পথে বাড়ির পার্শ্ববর্তী পৌঁছলে সেখান হতে কবাখালী ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি মো: সোহেল রানা ও তার সহযোগীরা মানব চাকমা ও সুজন জ্যোতি চাকমাকে ধরে কবাখালী বাজারের সবুজসংঘ ক্লাবের ভিতর নিয়ে যায়। সেখানে মানব চাকমা ও সুজন চাকমাকে বেঁধে রেখে ওই স্কুলছাত্রীকে ক্লাবের পেছনে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় পুলিশ কবাখালী ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি মো: সোহেল (২৬)-কে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামী মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: সোহাগ (৩২), প্রচার সম্পাদক মো: সাইফুল ইসলাম (২৬) এবং অর্থ সম্পাদক মো: আমির হোসেন পলাতক রয়েছে। এরা সবাই কবাখালী এলাকার বাসিন্দা।

পরে মঙ্গলবার ভোরে এলাকাবাসী অসুস্থ অবস্থায় ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে হিল উইমেন্স ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ মিছিল-সমাবেশ আয়োজন করছে। এলাকায় সেনা-বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ শাহাদাত হোসেন টিটো ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে ।
——————–

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More