খাগড়াছড়ি।। খাগড়াছড়ি শহরের অনতিদূরে দীঘিনালা সড়কের পাশে ৪ মাইল নামক স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি পিস্তল ও কার্তুজসহ গুলি উদ্ধারের যে খবর বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে তা আসলে সাজানো নাটক বলে জানা গেছে।
উক্ত গ্রামের কার্বারী বিকাশ ত্রিপুরা জানান, গত শনিবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে আর্মিরা তাকে ডাকে এবং একটি পিস্তল ও গুলি দেখিয়ে বলে, ‘এইগুলো আমরা এখানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পেয়েছি। এখানে তো ইউপিডিএফ এর লোকজন থাকে তাই না?’
কার্বারী ইউপিডিএফ-এর সদস্যরা ৫-৬ মাস ধরে ঐ এলাকায় থাকে না জানালে, একজন সেনা সদস্য তার সাথে খুব রূঢ় আচরণ করেন।
সঠিক তথ্যাটি সেনা সদস্যটির মনপুতঃ না হওয়ায় সে তাকে বলে, ‘থুত ব্যাটা, বেশী কথা বলো। বেশী বাড়াবাড়ি করলে তোমাকে ফাঁসাবো।’
যেখান থেকে ‘অস্ত্রগুলো উদ্ধার’ করা হয় সেটা হলো একটা পরিত্যক্ত দোকান, খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের পাশে। তার কাছে বিঝু ত্রিপুরার বাড়ি। সেনারা প্রথমে ওই পরিত্যক্ত দোকানে যায়, তারপর এলাকার কার্বারীকে ডাকে।
খাগড়াছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন-এর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রথম আলোর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ‘যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও পরে আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র গুলি ও চাঁদা আদায়ের রশিদ উদ্ধার করা হয়।’
কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো সেখানে কোন ইউপিডিএফ সদস্য ছিল না এবং কোন অবৈধ অস্ত্রও উদ্ধার হয়নি। এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে সে ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
——————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।