তাইন্দং হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সরকার এখনো উদ্যোগ নেয়নি
পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িরা বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
গওহর রিজভী সকাল পৌনে ১১টায় ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সভায় তিনি বলেন, আমি খুবই লজ্জিত ও মাথানত হয়ে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি। আপনাদের ওপর যে অন্যায় করা হয়েছে, তা ক্ষমার অযোগ্য। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আদর্শ ও বিশ্বাসের ওপর আঘাত হানা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত বিচারের অওতায় আনা হবে। তিনি সকল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পর্যায়ক্রমে ত্রাণ দেওয়ার আশ্বাস দেন।
জুম্ম শরণার্থী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অজিত বরণ চাকমা বলেন, ত্রাণ ও পুণর্বাসনের কার্যক্রম খুবই দুর্ব। আজ পর্যন্ত কোন অগ্রগতি নেই। পাহাড়িরা টিকে থাকবে কি থাকবেনা তা নির্ভর করছে সরকারের উপর।
সুকুমার ত্রিপুরা বলেন, আমরা নিরাপত্তার সাথে বাচঁতে চাই এবং আমাদের ছেলে মেয়েদের নিরাপত্তার সাথে পড়াশোনা করাতে চাই।
জেলা প্রশাসক মাসুদ করিম বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সীমাবদ্ধতার কারণে হামলার পরিকল্পনাকারীরা সুযোগ পেয়েছে। তবলছড়িতে যে পুলিশ ফাড়ি রয়েছে তা প্রশাসনিক থানা উন্নীত করা হবে এবং তাইন্দং-এ স্থাপন করা হবে।
পাবর্ত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, অগ্নিসংযোগের শিকার হওয়া পরিবারদের বাড়ী নির্মাণ করার জন্য যা ব্যয় হবে তা দেওয়া হবে। তিনি কমিউনিটি পুলিশ গঠনের জন্য ১ হাজার ডলার দেওয়ারও প্রস্তাব দেন।
এরপর ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরন করতে চাইলে পর্যাপ্ত না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তরা ত্রাণ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। এক পর্যায়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা পদত্যাগের হুমকি দিয়ে বলেন, আমি আগেও আপনাদের আশ্বাস দিয়েছি, আজও দিচ্ছি। তারপরও আপনারা আমার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করতে পারছেন না। সচিব হিসাবে এ ব্যথতা আমার। তাই আমার আর এ পদে থাকার কোন যোগ্যতা নেই। আমি ঢাকায় ফিরে পদত্যাগ করবো। তিনি উপদেষ্টাকে তার জায়গায় অন্য লোক দেখার জন্য অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি তাইন্দং সফরকালে ত্রাণ বিতরণ করতে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িরা ত্রাণ নিতে অস্বীকার করে। ফলে ত্রাণ বিতরণ না করেই সংসদীয় টিমকে ফিরে যেতে হয়।