সিএইচটি নিউজ ডটকম
খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ির রামগড় ও মানিকছড়িতে দুইজন গ্রাম প্রধান (কার্বারী) ও একজন মেম্বার সহ ৬ জন গ্রামবাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) ভোররাতের দিকে রামগড়ের হাফছড়ি ইউনিয়নের টিলা পাড়া, কালাপানি ও মানিকছড়ির বক্রি পাড়ায় পৃথকভাবে এ আটকের ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন- রামগড়ের হাফছড়ি ইউনিয়নের টিলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার বিষু কুমার চাকমা (৫০), পিতা- নিশি মোহন চাকমা, একই গ্রামের মেমং মারমা (৪০), পিতা- উসাখই মারমা, আথুইমং মারমা (৪০), পিতা- সুইহ্লা প্রু মারমা ও মমং মারমা (৩২), পিতা- কংচাই মারমা ও কালাপানি গ্রামের কার্বারী ক্রিঅং মারমা (৫১), পিতা মৃত. রাইপাসু মারমা এবং মানিকছড়ি উপজেলার বক্রি পাড়া গ্রামের কার্বারী যুগেশ চন্দ্র চাকমা (৭০), পিতা- মৃত দীনবন্ধু চাকমা।
সেটলার বাঙালি কর্তৃক জায়গা-জমি জোরপূর্বক বেখলের বিরুদ্ধে পাহাড়িরা যাতে প্রতিবাদ করতে না পারে, সেজন্য এলাকার জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে তাদেরকে আটক করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিন্দুকছড়ি জোনের সেনা সদস্যরা মঙ্গলবার ভোররাতের দিকে (রাত ২:৩০টা) রামগড় উপজেলাধীন হাফছড়ি ইউনিয়নের টিলাপাড়া গ্রামে হানা দিয়ে ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার বিষু কুমার চাকমাকে আটক করে। একই সময় সেনারা ওই গ্রামের বাসিন্দা মেমং মারমা, আথুইমং মারমা ও মমং মারমাকে আটক করে নিয়ে যায়। একই সময় সেনাদের অপর একটি দল কালাপানি গ্রামে গিয়ে গ্রামের কার্বারী ক্রিঅং মারমাকে আটক করে নিয়ে যায়।
এদিকে, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে সেনারা মানিকছড়ির বক্রি পাড়ায় হানা দিয়ে ওই গ্রামের কার্বারী যুগেশ চন্দ্র চাকমাকে আটক করে নিয়ে যায়।
আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়নি। সেনাবাহিনীর এ ধরনের অন্যায় ধরপাকড়ের কারণে এলাকার জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রামগড়ের হাফছড়ি ও মানিকছড়ির বক্রি ও মনাদং পাড়া এলাকায় পাহাড়িদের জায়গা-জমি জোরপূর্বক বেদখল করে সেটলার বাঙালিদের পুনর্বাসনে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। সিন্দুকছড়ি জোন এতে মূল ভূমিকা পালন করছে। গত রবিবার সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার রাব্বি আহসান কয়েকজন জনপ্রতিনিধিকে জোনে ডেকে পাঠিয়ে ওই এলাকায় চলমান ভূমি সমস্যা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি (প্রতিবাদ-বিক্ষোভ) করলে লাশ ফেলারও হুমকি দিয়েছেন।
—————-
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।