সাজেক, মারিশ্যা ও ডাকঘর মোনে নতুন করে সেটলার পুনর্বাসনের জঘন্য পরিকল্পনা!
অনলাইন ডেস্ক ।। রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট ও মারিশ্যার চারকিলো নামক স্থানে নতুন করে কমপক্ষে ৫০০ পরিবার বাঙালি সেটলার পুনর্বাসনের জঘন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে হিল ভয়েসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর দুর্ভেদ্য একুশ (২১ বীর) এর লংগদু জোনের উদ্যোগে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দূর্ভেদ্য একুশ (২১ বীর)-এর লংগদু জোন কর্তৃক বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট ও মারিশ্যার চারকিলো এলাকায় পুনর্বাসনের জন্য লংগদু উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সেটেলার বাঙালি পরিবারদের তালিকা করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে বাত্যাপাড়া, ঝর্ণাটিলা, হেডম্যান টিলা, ভাইবোনছড়া, সোনাই, হাজাছড়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০০/২৫০ পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। সূত্র মতে, উক্ত দু’টি স্থানে কমপক্ষে ৫০০ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে এবং তালিকাভুক্ত প্রতি সেটলার পরিবারকে ৩.০ একর পাহাড় ভূমি ও নগদ ১০,০০০ টাকা প্রদান করা হবে বলে জোন প্রতিনিধির পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়েছে।
উক্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সেনাবাহিনী ছত্রছায়ায় লংগদু থেকে একদল সেটলার বাঙালি লংগদু উপজেলার লংগদু মৌজার অন্তর্গত ডাকঘর মোন থেকে বামে লংগদু পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা পরিদর্শন করেছে। স্থানীয়দের নিকট জানিয়েছে যে, এসব এলাকায় তাদের (সেটলারদের) নামে প্রায় ৫০০ একর জায়গার কবুলিয়ত রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার লংগদু মৌজার হেডম্যান কলিনমিত্র চাকমার নিকটও এসব কবুলিয়তের বিষয়টি সেটলাররা তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু হেডম্যান অফিসে সেটলারদের এ ধরনের ভূমি কবুলিয়তের কোন রেকর্ড নেই বলে জানা গেছে।
এতে বলা হয়, আগামী ডিসেম্বরে চেঙ্গী নদীর নির্মিত নান্যাচর ব্রিজ উদ্বোধন করা হবে। উক্ত ব্রিজ উদ্বোধনের পর পরই ডাকঘর মোন এলাকায় সেটলারদের বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। এতে করে এলাকায় সেটলার ও জুম্মদের মধ্যে সংঘাত দিতে পারে বলে স্থানীয় জুম্ম গ্রামবাসীরা চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন।