অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার!
তিনি বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে এ সংগঠনটি সরকারের বিরুদ্ধে অপতপরতায় রয়েছে। বুধবার রাতে তেমনই একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তারা।”উল্লেখ্য, লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তার বার্ষিক প্রতিবেদনে ২০১২ সাল জুড়ে দেশে সংঘটিত বিভিন্ন গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিবরণ তুলে ধরে।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটায় লন্ডনে অ্যামনেস্টির বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৩ প্রকাশ করা হয়। এতে বিশ্বের ১৫৯টি দেশের গত বছরের (২০১২) সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি প্রতিবছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির এ বিস্তারিত পর্যালোচনা প্রকাশ করে থাকে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ পরিস্থিতির বিবরণে নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে বিনা বিচারে ৩০ জনকে হত্যা, ১০ জনের গুম এবং অনেকগুলো নির্যাতনের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়।
পাশাপাশি রাজনৈতিক সহিংসতায় মৃত্যু, নারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন, বাঙালি বসতি স্থাপনকারীদের হামলা থেকে ইন্ডিজেনাস বা পাহাড়িদের রক্ষায় ব্যর্থতা, কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের প্রার্থনালয়, ঘরবাড়ি ও ব্যবসাকেন্দ্রে হামলার বিভিন্ন ঘটনার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে এ প্রতিবেদনে।