দুই সশস্ত্র সংস্কারবাদী দলত্যাগ করে ইউপিডিএফের কাছে আশ্রয় নিয়েছে
রাঙামাটি॥ সেনা-মদদপুষ্ট জুম্ম রাজাকার জেএসএস সংস্কারবাদীদের সশস্ত্র গ্রুপ থেকে দুই সদস্য দলত্যাগ করেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে তারা তাদের মহালছড়ির মুবাছড়ি আস্তানা থেকে জিনিসপত্রসহ পালিয়ে ইউপিডিএফের কাছে আশ্রয় নিয়েছে।
দলত্যাগকারীরা হলেন নানিয়াচরের ১৮ মাইল এলাকার সোনারাম পাড়ার বাসিন্দা মৃত আদুরী পেদা চাকমার ছেলে শ্যামল কান্তি চাকমা ওরফে সুমন্ত, ৩৬ ও খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলাধীন দেওয়ানপাড়ার মৃত সুরুধ কুমার চাকমার ছেলে রবিধন চাকমা ওরফে রবি, ৪০।
এ নিয়ে গত কয়েক মাসে ২০ জনের মতো সংস্কারবাদী ও নব্য মুখোশ বাহিনীর সদস্য দলত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, শ্যামল কান্তি চাকমা ও রবিধন চাকমা সংস্কারবাদী-নব্যমুখোশদের স্বজাতি স্বার্থ পরিপন্থী ভূমিকা ও ব্যাপক দুর্নীতি-ব্যক্তিস্বার্থপরতা দেখে হতাশ হয়ে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
তাদের মতে সংস্কারবাদী-নব্যমুখোশদের দেশপ্রেমের বিন্দুমাত্র অবশিষ্ট নেই, তারা এখন আর্মিদের কথামত ‘জাত ধ্বংসের’ কাজে লিপ্ত এবং গণবিরোধী ভূমিকার জন্য তাদের ধ্বংসও অনিবার্য।
তারা মনে করেন সংস্কার-নব্যমুখোশদের সাধারণ নেতাকর্মীদের অধিকাংশই তাদের দলের শীর্ষ নেতাদের কাজ-কারবার মেনে নিতে পারছে না, কিন্তু পার্টির মধ্যে আলোচনারও কোন সুযোগ নেই। তাই সুযোগ পেলে আরো অনেকে দলত্যাগ করে পালিয়ে আসবে বলে তাদের বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, গত কিছু দিন আগে দল ত্যাগ করে ধর্মজয় ত্রিপুরা, শান্ত চাকমা, সুমন্টেু চাকমা ও পাভেল চাকমা সংস্কারবাদী-নব্য মুখোশ বাহিনীর সাথে সেনাবাহিনীর গোপন আতাঁত ফাঁস করে দিয়েছিলেন।
সংস্কারবাদী-নব্যমুখোশরা এখন তাদের গ্রুপ টিকিয়ে রাখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। আজ খাগড়াছড়ির স্বনির্ভর ও পেরাছড়ায় সাধারণ নিরস্ত্র নিরীহ জনগণের উপর কাপুরোষোচিত সশস্ত্র হামলা তারই প্রমাণ।
তবে গত কয়েক দিনে সাধারণ জনগণ সংস্কারবাদী-নব্য মুখোশদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন। খাগড়াছড়িতে তাদের অভূতপূর্ব বিক্ষোভ সবাইকে নাড়া দিয়েছে। সন্ত্রাসী হামলা করে জনগণের বিক্ষোভকে শান্ত করা যাবে না বলে সবাই মনে করছেন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ অপারেশন চার্চ লাইট এর মাধ্যমে শত শত নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করেও পাকিস্তানিরা টিকতে পারেনি। বিভিন্ন দেশে একনায়ক শাসকরা নির্মমভাবে গণহত্যা চালিয়ে ক্ষমতায় চিরকাল থাকতে পারেনি। তারেদ তুলনায় সংস্কারবাদী-নব্য মুখোশরা নস্যি মাত্র। তাদের ধ্বংস অনিবার্য, এতে কোন ভুল হতে পারে না।
——————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।