নান্যাচরে সেনাবাহিনী কর্তৃক এইচএসসি পরীক্ষার্থী রমেল চাকমাকে হত্যার প্রতিবাদে

বাঘাইছড়িতে পিসিপি’র বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

0

received_1732850500339188বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি ।। রাঙামাটির নান্যাচরে সেনাবাহিনী কর্তৃক এইচএসসি পরীক্ষার্থী রমেল চাকমার হত্যার প্রতিবাদে এবং দোষী সেনাদের শাস্তির দাবিতে বাঘাইছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ  সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) বাঘাইছড়ি উপজেলা  ও সাজেক শাখা ।

আজ শুক্রবার (২১ এপ্রিল ২০১৭) সকাল ১১টায় পিসিপি বাঘাইছড়ি ও সাজেক  শাখার নেতা-কর্মীরা রুপকারি উচ্চ বিদ্যালয়  মাঠে  এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। এতে পিসিপি’র বাঘাইছড়ি থানা শাখার সভাপতি রিপন চাকমার সভাপতিত্বে ও সহ- সভাপতি বিশ্বজিত চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বাঘাইছড়ি শাখার সদস্য জীবন চাকমা, পিসিপি সাজেক শাখার আহব্বায়ক রুপায়ন চাকমা ও পিসিপি’র রাঙ্গামাটি  জেলাশাখার সাধারণ সম্পাদক আসেন্টু ও তথ্য প্রচার সম্পদক সুমন চাকমা প্রমুখ।

বক্তারা এইচএসসি পরীক্ষার্থী রমেল চাকমাকে সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, জনগণের বিরুদ্ধে এই নির্মম ভূমিকা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সারাদেশে জনগণের বিরুদ্ধে চলমান এধরণের ফ্যাসিস্ট আচরণ যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে তার বিস্ফোরণে এই শাসকশ্রেণী ধ্বংস হবে বলে নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করেন। তারা এই ফ্যাসিস্ট শাসকচক্রের বিরেুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

বক্তারা অবিলম্বে রমেল চাকমার হত্যাকারী সেনা সন্ত্রাসী মেজর তানভীরসহ ঘটনার সাথে জড়িত সেনা সদস্যদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

উল্লেখ্য গত ৫ এপ্রিল প্রকাশ্যে দিবালোকে ছাত্রনেতা রমেল চাকমাকে ধরে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়েছে, যার কারণে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার তার মরদেহটি  চমেক থেকে নিয়ে আসা হলে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় বুড়িঘাট বাজার এলাকা থেকে সেনাবাহিনী মরদেহটি ছিনতাই করে। আজ   শুক্রবার দুপুরে সেনারা নিজেরা পেট্রোল ঢেলে রমেল চাকমার মরদেহটি পুড়িয়ে ফেলে।
———————-
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More