বিরোধপূর্ণ জেরুজালেমকে ইস্রায়েলের রাজধানী স্বীকৃতিদানের নিন্দা জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন সংগঠন

0

ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার উপেক্ষা করে বিরোধপূর্ণ জেরুজালেমকে ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃক ইস্রায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতিদানের পরিপ্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে আজ শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর ২০১৭) সংবাদ মাধ্যমে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে পাবর্ত্য চট্টগ্রামের তিন লড়াকু সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ), বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ)।

যৌথ বিবৃতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিবাদী ছাত্র-যুব ও নারীসমাজের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিন জনগণের ন্যায্য দাবির প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে পাহাড়ের এ তিন লড়াকু সংগঠন।

ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে লোকদেখানো সমর্থন জানালেও বাস্তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ইহুদিবাদী নীতি অনুসরণ করছে মন্তব্য করে তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেছেন,‘ পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতির দিকে তাকালে তার জ¦লন্ত সাক্ষ্য মেলে। এখনও ফিলিস্তিন সংহতি দিবসের সমাবেশে যোগ দেয়ার কারণে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভানেত্রীকে কোর্টে হাজিরা দিতে বাধ্য করে হয়রানি করা হচ্ছে।’

# জাতিসংঘ ঘোষিত ফিলিস্তিনি সংহতি দিবস উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে ৮ গণসংগঠনের মিছিল। # ফাইল ছবি (২৯ নভেম্বর ২০১৫)

সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত যৌথ বিবৃতিতে তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিরোধপূর্ণ জেরুজালেম বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে বিতর্কিত এক ব্যক্তির সিদ্ধান্ত, তাতে গোটা মার্কিন জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি বলে মন্তব্য করেন। ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে দ্বোমুখী নীতি অনুসরণের জন্য তারা ক্ষমতাসীন সরকারের কার্যকলাপেরও নিন্দা জানান।

তিন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ)-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি অংগ্য মারমা ও সাধারণ সম্পাদক জিকো ত্রিপুরা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিনয়ন চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভানেত্রী নিরূপা চাকমা।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৯ নভেম্বর ফিলিস্তিন সংহতি দিবসে খাগড়াছড়িতে ডিওয়াইএফ, পিসিপি, এইচডব্লিউএফসহ ৮ গণসংগঠনের কনভেনিং কমিটি সংহতি সমাবেশ আহ্বান করে। সেনা-পুলিশ উক্ত সংহতি সমাবেশে আগতদের ওপর নির্বিচারে লাঠিপেটা চালায়, এতে তিরিশ জনের অধিক কর্মী-সমর্থক গুরুতম জখম হন। হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভানেত্রী নিরূপা চাকমা ও দ্বিতীয়া চাকমা ১৮ দিন কারাভোগ করেন। সরকার এখনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে উক্ত “ফিলিস্তিন সংহতি সমাবেশে যোগদানের মামলা” ঝুলিয়ে রেখেছে। পরীক্ষার সময়ও হাজিরা দিতে বাধ্য করে সরকার-প্রশাসন তাদের হয়রানি করছে।
—————–
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More