রামগড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা সেনাবাহিনীর দেয়া ত্রাণ গ্রহণ করেনি

0

খাগড়াছড়ি প্র্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
আজ ২৫ এপ্রিল ২০১১, সকাল থেকে সেনাবাহিনীর সিন্দুকছড়ি জোনের কমান্ডার লে: কর্ণেল কামরুল হাসানের নেতৃত্বে একদল সেনাবাহিনী ১৭ এপ্রিল সেটলার কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ বিতরণ করতে যায়। তারা প্রথমে রেম্রং পাড়ায় গিয়ে বিতরণ করার জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের খবর দেয়। ক্ষতিগ্রস্তরা সেখানে না গেলে পরে দুপুর ১২:০০ টার দিকে সেনারা ত্রাণ নিয়ে শনখোলা পাড়ায় ত্রাণ বিতরণ স্থানে গিয়ে হাজির হয়। ত্রাণের মধ্যে ছিল ৪০টি লুঙ্গি, ৪০টি থামি ও ১০টি কম্বল। এ সময় সেনাবাহিনীর সাথে গুইমারার কংজরী মারমাও ছিল। তখন ক্ষতিগ্রস্তরা সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কোন ত্রাণ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, “আমাদের ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে, খাবার মতো খাদ্য নেই। আমাদের এখন দরকার ঘরবাড়ি এবং খাদ্য৷ আর আপনারা এসেছেন আমাদেরকে কাপড়-চোপড় দিতে৷ “আমরা আপনাদের কাছ থেকে কোন ত্রাণ নেবো না৷ আগে আমাদের নিরাপত্তা দিন, ঘরবাড়ি তুলে দিন এবং আমাদের জায়গা-জমি আমাদেরকে ফিরিয়ে দিন।” তখন কমান্ডার কামরুল হাসান বলেন আমরা আপনাদের ঘরবাড়ি তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো এবং এ বিষয়ে আমরা সরকার, এমপি,

মন্ত্রীর সাথে আলোচনা করবো৷ আপনারা আপাতত আমাদের এই লুঙ্গিগুলো গ্রহণ করেন৷ এভাবে অনেকক্ষণ বাক বিতণ্ডার পর ক্ষতিগ্রস্তরা সেনাদেরকে সাফ জানিয়ে দেন যে, তোমাদের হাতে আছে বন্দুক, আমাদের হাতে আছে জুতা। বেশি বাড়াবাড়ি করলে জুতা পেটা করা হবে।

ক্ষতিগ্রস্তদের কোনভাবে ত্রাণ গ্রহণে রাজি করাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে গঠিত ত্রাণ গ্রহণ ও বিতরণ কমিটির কাছে ত্রাণগুলো জমা দিয়ে সেনারা দুপুর ১:৩০টার দিকে সেখান থেকে চলে গেছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য যে, গত ১৭ এপ্রিল উক্ত সেনা কমান্ডারের সহযোগিতায় সেটলার বাঙালিরা রামগড়, গুইমারা এবং মানিকছড়িতে ৬টি পাহাড়ি গ্রামে প্রায় ১০০টি ঘর পুড়ে ছাই করে দেয় এবং লুটপাট সহ পাহাড়িদের উপর হামলা চালায়। এ সময় সেটলারদের হামলা থেকে চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়িতে আসা যাত্রীবাসী পাহাড়িরাও রেহাই পায়নি।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More