সিএইচটিনিউজ.কম

দীঘিনালা প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার ৪নং দীঘিনালা ইউনিয়নের শশী মোহন কার্বারী পাড়ায় স্থায়ী বাসিন্দা মৃত পিদিয়ে চাকমার ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী মুকুল্যা চাকমা(৫০) নিজ জায়গায় বিজিবি কর্তৃক মাটি কাটার কাজে বাধা দিতে গেলে বিজিবির নির্দেশে দা, কোদাল ও লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া করেছে মাটি কাটার কাজে নিয়োজিত সেটলার বাঙালিরা।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে বিজিবি ৫১ ব্যাটালিয়নের নির্দেশে বাবুছড়া বাজারের বাঙালিরা মুকুল্যা চাকমার জায়গার উপর মাটি কাটতে যায়। মানসিক প্রতিবন্ধী মুকুল্যা চাকমা তাতে বাধা দিতে গেলে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত দা, কোদালসহ লাঠিসোটা নিয়ে বাঙালিরা তাকে ধাওয়া করে। প্রাণ বাঁচানোর জন্য মুকুল্যা চাকমা কোন রকম পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। পালিয়ে না আসলে মুকুল্যা চাকমা কপালে যে কি জুটত কে জানে! যেভাবে চিৎকার করতে করতে তাড়া করেছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই যে, বাঙালিরা তাকে মেরে ফেলত। বিধবা হত আর একটি নিরীহ পাহাড়ি নারী। এতিম হয়ে পড়ত কয়েকটি নিষ্পাপ ছেলে মেয়ে।

গত কয়েকদিন আগে হাইকোর্ট থেকে বিজিবি ৫১ ব্যাটালিয়নকে সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু আইন অমান্যকারী বিজিবি কোর্টের রায় তোয়াক্কা না করে তাদের পরিকল্পিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এটা চরম আদালত অবমাননা বললেও কম হয়। তারা এখন কৌশল পাল্টিয়ে রাত্রে নির্মান করছে নতুন নতুন স্থাপনা আর দিনের বেলায় রাস্তাঘাট নির্মাণ করে চলেছে।
উল্লেখ্য যে, গত ১৪ মে দিবাগত রাতে বিজিবি ৫১ ব্যাটালিয়ন জোর করে শশী মোহন ও যত্ন কুমার কার্বারী পাড়ায় অবস্থান নেয়। এলাকাবাসীর কোন কথা তারা কর্নপাত করেনি। উল্টো ১০ জুন সন্ধ্যার সময় পুলিশ বিজিবি এবং নির্মান কাজে নিয়োজিত বাঙালিরা পাহাড়ি গ্রামবাসীর উপর আক্রমন করে এবং শশী মোহন ও যত্ন কুমার কার্বারী পাড়ার অধিবাসীদের উচ্ছেদ করে দেয়। তার পরপরই ২নং বাঘাইছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বৌদ্ধ মন্দিরের জায়গাসহ কাটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলে। আর উক্ত গ্রামবাসীরা বাস্তভিটা হারিয়ে বাবুছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। বর্তমানেও সেখানে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিজিবি আসার পর থেকে একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিক অংশ হিসেবে আজকের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
————-
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।