রামগড়ে পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে সাজেকের মাচলঙে বিক্ষোভ

0

সাজেক প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শনিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৪

খাগড়াছড়ির রামগড়ে পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং ধর্ষক মো. ইউসুফ, রানা ও ফয়সালসহ জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে রাঙামাটির সাজেকের মাচলঙে।  

আজ শনিবার (২৪ আগস্ট ২০২৪) দুপুর ২:০০টার সময় গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাজেক থানা শাখাদ্বয়ের যৌথ উদ্যোগে মাচলঙ বাজারে সাজেক পর্যটন সড়কে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।  

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সদস্য সীমা চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের বাঘাইছড়ি উপজেলা সভাপতি সুখি চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাজেক থানা শাখার সভাপতি নিউটন চাকমা।

বক্তারা রামগড়ে পাহাড়ি নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত অপরাধীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না পাওয়ায় এ ধরনের ঘটনা থামছে না। আমরা দেখতে পেয়েছি রামগড়ের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে রাঙামাটিতে ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে আরো এক পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার দুই দিন পার হলেও রামগড়ে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি। এসব ঘটনার বিরুদ্ধে নারীদেরকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তারা। 

বক্তারা আরো বলেন, পাহাড়ে প্রায় সময় সেটলার ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্তৃক পাহাড়ি নারী  ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়। এ যাবত কোন নারীর ধর্ষণের বিচার হয়নি। উল্টো বিচারহীনতার সংস্কৃতি জারির মাধ্যমে ধর্ষকদের উৎসাহ দেওয়া হয়। যার ফলে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ২৮ বছর পরেও কল্পনা চাকমা অপহরণের বিচার পাইনি।২০১৮ সাালে  রাঙামাটির বিলাইছড়িতে সেনা সদস্য দ্বারা দুই মারমা বোনের ধর্ষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হলেও সে ঘটনারও কোন বিচারও করা হয়নি।   

তারা বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার পতনের মাধ্যমে সমতলের ফ্যাসিস্ট শাসন থেকে মুক্ত হলেও পাহাড়ে মানুষ মুক্ত হয়নি। নারী নির্যাতন, ভূমি উন্নয়ন নামে বেদখল, ধরপাকড়সহ নিপীড়ন-নির্যাতন কমেনি। সেনাবাহিনীর দ্বারা অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা জারি রয়েছে।

সমাবেশ থেকে অবিলম্বে ধর্ষণকারীদের গ্রেফতার করে যথাযথ বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিত করতে এবং পাহাড় ও সমতলে নারী নির্যাতন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More