কাউখালীতে কলমপতি গণহত্যা দিবসে আলোচনা সভা

0
31

কাউখালী প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

কলমপতি গণহত্যার ৪৩ বছর উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে ইউপিডিএফ’র কাউখালী ইউনিট। ছবি: প্রতিনিধি

‘‘পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সকল গণহত্যার বিচার করুন” শ্লোগানে রাঙামাটির কাউখালীতে কলমপতি গণহত্যার ৪৩ বছর উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ২৫ মার্চ ২০২৩, শনিবার ইউপিডিএফ’র কাউখালী ইউনিট এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সভায় ইউপিডিএফ সংগঠক অমিয় চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন হিল ‍উইমেন্স ফেডারেশন রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি রিপনা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কাউখালী শাখার সভাপতি শান্তনা চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের রাঙামাটি জেলা শাখার সম্পাদক থুইনু মং মার্মা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কাউখালী শাখার সভাপতি সুমন চাকমা, বিশিষ্ট মুরুব্বী সাবেক প্রধান শিক্ষক সুনীল কান্তি তালুকদার, মেম্বার মুনীন্দ্র তালুকদার, সুকুমার কার্বারী এবং সমাজ সেবক দীপেন্দু চাকমা।

সভা শুরুতে কলমপতি গণহত্যাসহ সংঘটিত সকল গণহত্যায় যারা নিহত হয়েছেন এবং আন্দোলন সংগ্রামে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৮০ সালে ২৫ মার্চ কাউখালীর কলমপতিতে সংঘটিত গণহত্যাটি সেনা বাহিনী কর্তৃক পূর্ব পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছিল। সেনা সদস্যরা বিহার উন্নয়ন ও নির্মাণের কথা বলে মিটিং–এর নামে পোয়াপাড়া, কচুখালী, রাঙ্গীপাড়া, ডুলু, মাগ্যামাছড়া, হেডম্যানপাড়া, নীচপাড়া, মিতিঙ্গ্যাছড়ি, বেতছড়িসহ বিভিন্ন গ্রামের লোকজনকে স্থানীয় পোয়াপাড়া বিহারে জড়ো করে। সেনাদের কথায় বিশ্বাস করে সহজ সরল জনগণ সংশ্লিষ্ট গ্রামের মুরুব্বীদের সাথে নিয়ে সভায় উপস্থিত হয়। তারপর সমবেত লোকজনকে সারিবব্ধভাবে লাইনে দাঁড় করিয়ে সেনারা নির্বিচারে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। এতে কাউখালী বাজার চৌধুরী কুমুদ বিকাশ চাকমা, পোয়া পাড়া স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাশীদেব চাকমা সহ তিন শতাধিক নিরীহ লোক হত্যার শিকার হন।

বক্তারা বলেন, কলমপতির গণহত্যাটি বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত প্রথম গণহত্যা। তার পর থেকে একে একে মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি, পানছড়ি, লংগদু, লোগাং, নাচিয়ারচর সহ বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময়ে ডজনের অধিক গণহত্যাসহ অসংখ্য সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে। কিন্তু কোন অপরাধের জন্য দোষীরা বিচারের মুখোমুখি হয়নি। এমনকি বিভিন্ন ঘটনার জন্য তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও সেসবের প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি।

বক্তরা আরো বলেন, যতদিন পার্বত্য চট্টগ্রামের লোকজন পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকবেন ততদিন সকল গণহত্যার বিচারের জন্য দাবি জানিয়ে যাবেন। কোন অবস্থাতেই পার্বত্য চট্টগ্রামের লোজনকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। ইউপিডিএফ-এর নেতৃত্বে পার্বত্যবাসী লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন।  


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।


সিএইচটি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.