বিবদমান দুই পাহাড়ি সংগঠনকে প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার পথ পরিহার করে আলোচনার মাধ্যমেই পার্বত্য সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে: প্রথম আলো
ডেস্ক রিপোর্ট
সিএইচটিনিউজ.কম
জাতীয় বাংলা দৈনিক প্রথম আলো আজ ‘পাহাড়ে শান্তি কি সুদূরপরাহতই থাকবে?পানছড়িতে হত্যাকাণ্ড’ শিরোনামে তার সম্পাদকীয় কলামে লিখেছে, ‘জেএসএস ও ইউপিডিএফ নেতাদের বুঝতে হবে, দুই সংগঠনের অব্যাহত লড়াইয়ে সেখানে কেবল শান্তিই বিঘ্নিত হচ্ছে না, বাড়তি সেনা ছাউনি ও সেনাসদস্য মোতায়েনকেও যৌক্তিকতা দিচ্ছে। সাধারণ পাহাড়িরাও সংঘাত-সংঘর্ষ চায় না’। http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-10-01/news/294025
পত্রিকাটি আরো লিখেছে: ‘পানছড়ির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে বিচারে সোপর্দ করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালনে তারা ব্যর্থ হলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকবে। বিবদমান দুই পাহাড়ি সংগঠনকে প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার পথ পরিহার করে আলোচনার মাধ্যমেই পার্বত্য সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে। তাদের বিভক্তি পাহাড়িদের অবস্থান যেমন দুর্বল করবে, তেমনি শান্তি প্রতিষ্ঠাও হবে সুদূরপরাহত’।
পত্রিকারটির সম্পাদকীয় মন্তব্য যথার্থ। বোধশক্তিসম্পন্ন যে কেউ এর সাথে একমত হবেন। বস্তুত পাহাড়িদের মধ্যে ৯৯.৯৯ শতাংশ চাই আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পন্থায় দুই পার্টির মধ্যে ঐক্য সমঝোতা হোক।
অপরদিকে এটাও সবার জানা যে, ইউপিডিএফ এর পক্ষ থেকে ঐক্যের জন্য বার বার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও সন্তু লারমা গ্রুপ তাতে সাড়া দিচ্ছে না। সম্প্রতি রাঙামাটি ঘটনার পরও ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে ঐক্যের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। কিন্তু জেএসএস তাতে রাজী হয়েছে বলে জানা যায়নি। বরং ইন্টারনেটে সন্তু লারমার সমর্থকরা ঐক্যের বিরুদ্ধে প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন।
সন্তু লারমা গত রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালী কলাপাড়ায় রাখাইনদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের আদিবাসীদের মধ্যে অনৈক্য রয়েছে। আপনাদের নিজেদের অধিকার বাস্তবায়ন করতে চাইলে সংঘবদ্ধ হওয়ার কোন বিকল্প নেই’। (সুপ্রভাত বাংলাদেশে, ১ অক্টোবর)
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার এক পাহাড়ি বুদ্ধিজীবী বলেন, তিনি অন্যকে ঐক্যের উপদেশ দেন, কিন্তু তিনি নিজেই তো ইউপিডিএফ ও জেএসএস এম এন লারমা গ্রুপের সাথে ঐক্য করেন না, সমঝোতা করেন না। আর সমঝোতা করলেও তিনি নিজেই তার শর্ত ভঙ্গ করেন।
‘সন্তু লারমা সুড প্রেকটিস হোয়াট হি প্রিচ’বলে তিনি মন্তব্য করেন, এবং বলেন ‘সন্তু লারমার প্রথম আলোর সম্পাদকীয়টি পড়ে লজ্জা পাওয়া উচিত’। [সমাপ্ত]