রমেল চাকমার হত্যার প্রতিবাদে দীঘিনালায় গণ-মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত
আজ ৮ মে ২০১৭, সোমবার ৪নং দীঘিনালা ইউনিয়নে পুকুরঘাট, ৫নং বাবুছাড়া ইউনিয়নের নুয়ো বাজার, ২নং বুয়ালখালি ইউনিয়নের সাধকছড়া এলাকায় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্ষন্ত ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রুপেশ চাকমা, দীঘিনালা উপজেলা সভাপতি নিকেল চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ) দীঘিনালা উপজেলা শাখার সভাপতি এন্টি চাকমা।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অগণতান্ত্রিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দমনমূলক ১১দফা নির্দেশনা জারি করার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। গণতান্ত্রিক সমাবেশ, মিছিল মিটিং এর উপর সেনাবাহিনীরা বাধা প্রদান ও হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। কথিত সেনা অভিযানের নামে ঘরবাড়ি তল্লাশি চালিয়ে নিরীহ জনগনকে হয়রানি করছে। রাস্তাঘাটে নিরাপত্তা নামে চেকপোস্ট বসিয়ে সাধারণ যাত্রীদের হয়রানি করা বেড়ে গেছে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, গত ৫ এপ্রিল নান্যাচর জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোঃ বাহালুল আলম ও মেজর তানভীরের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও পিসিপি নেতা রমেল চাকমাকে বিনা ওয়ারেন্ট আটক ও নান্যাচর জোনে নিয়ে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতনের পর তাঁর মৃত্যু ঘটে। সেনা হেফাজতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রমেল চাকমার মৃত্যু হলে তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করে ধর্মীয় রীতিনীতি, সামাজিক নিয়ম, আত্মীয় স্বজন ছাড়া সেনাবাহিনী নিজেরা গায়ের জোরে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা অবিলম্বে রমেল চাকমা হত্যাকারী নান্যচর জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোঃ বাহালুল আলম ও মেজর তানভীরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, রমেল হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও তাঁর পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানান।
________
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।